Advertisment

চুলে রং করলেই রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? কী করবেন?

বেনিআসহকলা, রামধনুর সাত রঙের চুলেরই ছড়াছড়ি আশেপাশে। আর চুলে রং মানে মনে রং। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যে ভাঙে ভুল। আপনি বুঝতে পারেন  রং করার পরেই চুল বড়ো রুক্ষ হয়ে পড়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ছবি ফেসবুক পেজ থেকে।

"লাল নীল সবুজেরই মেলা বসেছে...লাল নীল সবুজেরই মেলা রে...

Advertisment

আয় আয় দেখবি যদি, আয়রে ছুটে আয়, নতুন সে এক খেলা রে"

না, শৈশবের ধুলোয় লুটোপুটি করে খেলার দিনগুলোর আগে এই গান শুনলে আজকাল সবারই মাথায় আসে হেয়ার কালারের কথা। আর আসবে নাই-বা কেন বলুন? আজকাল রাস্তাঘাটে, আপিসে-কলেজে মায় হাসপাতালে পর্যন্ত এদিক ওদিক তাকালে বেরঙিন চুল বড়ো একটা চোখে দেখতে পাওয়া যায় না।

বেনিআসহকলা, রামধনুর সাত রঙের চুলেরই ছড়াছড়ি আশেপাশে। আর চুলে রং মানে মনে রং। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যে ভাঙে ভুল। আপনি বুঝতে পারেন  রং করার পরেই চুল বড়ো রুক্ষ হয়ে পড়ে। তার প্রধান কারণ হচ্ছে, চুলের রঙে রাসায়নিক থাকে এবং তার প্রভাবেই আর্দ্রতা হারাতে আরম্ভ করে আপনার চুল। তাই যাঁরা নিয়মিত চুলে রং করান, তাঁদের ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করানোর পরামর্শও দেওয়া হয়। এমনিতেও যখন শ্যাম্পু করবেন, তার পর অবশ্যই কালার ট্রিটেড চুলের জন্য বিশেষ কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। অন্তত তিন-চার মিনিট চুলে কন্ডিশনার বসতে দিন। তার পর ধুয়ে ফেলুন। চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর  তেল গরম করে মালিশ করলেও কাজ হয় ভালোই। ডাই করার পর অন্তত তিন দিন চুল ধোয়া বা শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকুন। চুলের পুরোনো শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য এই সময়টুকু খুব দরকার।

আরও পড়ুন, পরীক্ষায় পাস করলে তবেই বিয়ে! ২০২০ থেকে সরকারের নতুন নিয়ম

এ ছাড়া কী কী করবেন?

১) খুব বেশি গরম জল চুলে দেবেন না

২ ) কন্ডিশনার ধোওয়ার সময় ঘরের তাপমাত্রার জল মাথায় ঢালুন

৩)  প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, একদিন অন্তর অন্তর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

৪) চুল খুব রুক্ষ লাগলে শ্যাম্পু ব্যবহার না করেও কন্ডিশনার লাগাতে পারেন।

৫) প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ফুল ক্রিম দুধে পাতা দই আর মধুর প্যাক খুব ভালো। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন, তার পর হালকা কোনও শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন।

আরও পড়ুন, ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণর দাগ দূর করবেন কী ভাবে?

৬) ডিমের কুসুম, মধু আর অলিভ অয়েলের প্যাকও খুব ভালো। তবে ডিমের তীব্র গন্ধে অনেকের অসুবিধে হয়, সে ক্ষেত্রে বার দুয়েক শ্যাম্পু করতে হবে।

৭) নারকেল তেল,আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে নিয়ে চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর ভালো করে মাখিয়ে নিন। গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে চুল মুড়ে রাখুন। তাতে তেলের পুষ্টিটা চুলের একেবারে গোড়া পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। পরদিন হালকা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।

৮) রং করা চুল যদি রুক্ষ হয়ে যায়, তা হলে কিছুদিন স্টাইলিং প্রডাক্ট, বিশেষ করে হিট স্টাইলিং বন্ধ রাখতে হবে। মনে রাখবেন ব্লো ড্রাই করলে চুল দেখতে নিঃসন্দেহে ভালো লাগে, কিন্তু তাতে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়।

hair
Advertisment