পয়লা তারিখে সকাল থেকেই মনটা খুশি খুশি থাকে, একটাই কারণে। দুপুর গড়াতে না গড়াতেই মুঠোফোনে মেসেজ আসে। মাইনে ঢুকেছে অ্যাকাউন্টে। বেশিরভাগ সরকারি অফিসে অবশ্য এখন মাসের শেষেই মাইনে হয়। বেসরকারি অনেক সংস্থাতেই মাসের প্রথম দিনে বেতন দেওয়ার চল রয়েছে। আজ সেরকম এক মাস পয়লা। ছুটির দিন নয়, তবে লকডাউন অবশ্য ছুটি আর কাজের দিনের মধ্যে ফারাকটুকু ঘুচিয়েছে। এখন কাজের দিনেও ছুটি, আবার ছুটির দিনেও কাজ। আহা! ঘরের কাজে সাহায্য করতেন যারা, তাঁরা তো বাড়ি থেকে বেরোতেই পারছেন না। তাই হিসেব মতো আপনার বাড়িতে থাকাও তেমন আরামদায়ক হচ্ছে না। আজ প্রায় মাস দুয়েক পরিচারিকারা আপনার বাড়ি আসেননি। কিন্তু এক তারিখ তো শুধু আপনার নয়। ওঁর সংসারেও আজ মাস পয়লা, সংসার গুছিয়ে নেওয়ার দিন।
কীভাবে আপনার পরিচারিকাকে বেতন পৌঁছে দেবেন?
১) পরিচারক কিম্বা পরিচারিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে নম্বর জেনে টাকা ট্রান্সফার করে দিন। প্রয়োজন মতো তিনি বাড়ির কাছের ব্যাঙ্ক শাখা থেকে টাকা তুলে নিতে পারবেন।
২) রাস্তায় যান চলাচল কার্যত বন্ধই। পরিচারক অথবা পরিচারিকার আর আপনার বাড়ির মধ্যে হাঁটা দূরত্ব না হলে তাঁর পক্ষে বেতন নিতে আসা অসম্ভব। আপনার নিজের গাড়ি থাকলে সকালে অত্যাবশ্যকীয় জিনিস কিনতে যাওয়ার সময় তাঁকে কোথাও দাঁড়াতে বলুন। মুখে মাস্ক পরে অবশ্যই। বেতন দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই চলে আসুন।
৩) সাধারণত এনারা দল বেঁধে এক জায়গা থেকেই আসেন কাজ করতে। পড়শিদের বাড়িতে অন্য পরিচারিকা মাইনে নিতে এলে তাঁর হাতে মাইনে দিয়ে আপনার বাড়ির পরিচারক অথবা পরিচারিকাকে ফোন করে জানিয়ে দিন।
৪) পরিচারিকা যে অঞ্চলে থাকেন, সেখানকার কারোর সঙ্গে খুব জরুরি কারণ বশত দেখা করার থাকলে তাঁর হাতে মাইনে দিতে পারেন, পরিচারিকার নিজের অ্যাকাউন্ট না থাকলে এই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিয়ে জানিয়ে দিতে পারেন।
৫) পরিচারিকার যে অঞ্চলে বাস, সেখানকার স্থানীয় দোকানদার অথবা ছোট ব্যবসায়ীর গুগল পে থাকতেই পারে। পরিচারিকাকে খবর নিয়ে জানাতে বলুন। সেক্ষেত্রে বেতনের পরিমাণ টাকা গুগল পে তেও পাঠাতে পারেন।
আপনার মতোই আপনার পরিচারকেরও করোনা সচেতনতা থাকা জরুরি। মাইনে নিতে যাওয়ার সময় মুখে মাস্ক পরে এবং দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তির থেকে ন্যূনতম ১ মিটার দূরত্ব রাখার কথা মনে করিয়ে দেবেন।