আধুনিক জীবনে স্ট্রেস আমাদের আষ্টেপ্ষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। দশটা-পাঁচটার অফিস, বাড়ির কাজ, পিয়ার প্রেশার, ফিরে এসে ক্লান্তি, ডেডলাইনের চাপ সব নিয়ে একেবারে চিড়ে চ্যাপ্টা হওয়ার জোগাড়! চাপ যত বাড়ছে, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাইফস্টাইল ডিজিজ। ব্লাড প্রেশার, রক্তে শর্করার মাত্রা কোনও কিছুই আর নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মমাফিক খাওয়াদাওয়া করা এবং রোজের রুটিনে খানিকটা অন্তত ব্যায়াম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু আপনি যদি সমস্যার একেবারে গভীরে পৌঁছতে চান, তা হলে আগে তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। আপনার কাজের জায়গা কোনওভাবে স্ট্রেসের কারণ নয় তো?
আরও পড়ুন, ঘুমহীনতাই ঘুম কেড়েছে? কী খেতে হবে?
একবার ভালো করে খেয়াল করুন তো, অফিস থেকে বাড়ি ফিরে কিমবা বা ছুটির দিনেও কি সারাক্ষণ আপনাকে ডুবে থাকতে হচ্ছে ? যত দিন যাচ্ছে, প্রত্যেকের জীবনই তত গভীরভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে টেকনোলজির দ্বারা এবং তার ফলে প্রভাবিত হচ্ছে ব্যক্তিজীবন। ‘ভার্জিনিয়া টেক’ নামক একটি সংস্থা ‘কিলিং মি সফটলি: ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন মনিটরিং অ্যান্ড এমপ্লয়ি অ্যান্ড সিগনিফিক্যান্ট আদার ওয়েল বিয়িং’ শীর্ষক গবেষণাটি করেছিল। ছুটির পরেও অফিসের কাজ সারতে বা মেলের উত্তর দিতে গিয়ে কর্মীরা ব্যক্তিগত দায়দায়িত্বগুলি ঠিকভাবে পালন করে উঠতে পারছেন না। সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত অন্যতম গবেষক উইলিয়াম বেকারের মতে, এর ফলে স্ট্রেস আর অ্যাংজ়াইটি বাড়ছে, ক্রমশ কমছে প্রোডাক্টিভিটি। তাঁর পরামর্শ, চাকরির পূর্বশর্ত না থাকলে কাজের শেষে বাড়ি ফেরার পর আর ফোন দেখবেন না, বন্ধ রাখুন।
আরও পড়ুন, পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে কী খাবেন?
যারা সরাসরি উদাসীন হতে পারছেন না, তাঁরা অফিস ছুটির পর কাজ সংক্রান্ত মেইল বা মেসেজের উত্তর দেওয়া বন্ধ করুন। তাতে আপনার বস বুঝবেন কাজের সময় শেষ হলে বাকি সময়টা আপনার ব্যক্তিগত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন