ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কি পক্স। ১৯৫০ এর দশকে এই ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ঘটে বাঁদরের মধ্যে। সম্প্রতি করোনার মধ্যেই বাড়বাড়ন্ত মাঙ্কিপক্সের। ইতিমধ্যেই ২১টি দেশে সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে যা নিয়ে উদ্বেগ ধরা পড়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গলাতেও।
বর্তমানে, এই ভাইসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইজরায়েল, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্কটল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
ইতিমধ্যে ভারতেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে, কিছু মাঙ্কিপক্স চিকেন পক্সের মতো হতে পারে যেমন ফুসকুড়ি, জ্বর এবং গা ব্যথা।
যখন বিশ্বের একাধিক দেশে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। তখন বাচ্চাদের নিয়ে কিছু ঝুঁকির কথা তুলে ধরেছেন তাবড় বিশেষজ্ঞরা। এশিয়ান ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং প্রধান ডাঃ চারু দত্ত অরোরা, বলেছেন বাচ্চাদের মধ্যে এই রোগের ঘটনা বিরল হলেও আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যে সমস্যা প্রধানত দেখা দিতে পারে তা হল মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ অনেকটাই স্মল পক্সের মত হতে পারে। ডাঃ চারু দত্ত অরোরা বলেন, ফুসকুড়ি, জ্বর এবং শরীরে ব্যথা এগুলোই মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক লক্ষণ। র্যাশ গুলি মুখ থেকে শুরু হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ডাঃ অরোরা বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে জ্বর সাধারণত ২-৩ দিন বেশি হয়। সেই সঙ্গে ক্লান্তি এবং দুর্বলতাও লক্ষ্য করা যেতে পারে।
সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী করবেন?
ডাঃ চারু দত্ত অরোরা বলেন যে ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে তাতে আমাদের সকলকেই সাবধানে থাকতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের। যে বিষয়গুলো অবশ্যই মেনে চলবেন-
১. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হ'ল হাত ধোয়া (সাবান এবং জল বা অ্যালকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার দিয়ে ২০ সেকেন্ড ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে মাঝে মধ্যেই।)।
২. পশু থেকে মানুষে সংক্রমণ রোধ করতে হবে।
৩. মাংস ভালো করে সেদ্ধ করুন। যতটা সম্ভব মাংস এড়িয়ে চলুন।
৪. ফুসকুড়ি, স্কিন র্যাশ রয়েছে এমন ব্যক্তির থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
৫. অসুস্থ রোগীর ফ্লুইড অথবা বস্তুর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।