একটি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হতে বেশ খানিকটা সময় নেয় একজন সদ্যজাত। প্রকৃতির অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার এই সময়টায় তাই তাকে পড়তে হয় একাধিক সমস্যায়। ঠান্ডা লাগা, সংক্রমন, জ্বর, পেট ব্যথার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয় শিশুর জন্মের পর পরই। কাজেই এই সময়টা অবশ্যই সাবধানে রাখুন আপনার সদ্যজাতকে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এদিকে নতুন মায়েদের জন্য রইল কিছু টুকরো টিপস। জেনে নিন সন্তানকে রোগের হাত থেকে সামলে রাখবেন কীভাবে।
আপনার সদ্যজাতকে যতটা সম্ভব পর্যাপ্ত উষ্ণতার মধ্যে রাখুন। প্রকৃতির আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিশুদের কিছুটা সময় লাগে। সেই সময়টুকু ওকে দিন। জন্মের পরপরই অন্তত কয়েক সপ্তাহ ওকে স্বাভাবিক উষ্ণতার মধ্যে রাখুন, খুব বেশি ঠান্ডায় রাখবেন না। এ ক্ষেত্রে মায়ের কাছাকাছি রাখুন সদ্যজাতকে। চিকিৎসকরা বলছেন, মায়ের স্পর্শই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন; রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন এই খাদ্যগুলি
রাস্তা থেকে এসেই যেকোনও লোককে বাচ্চার গায়ে হাত দিতে দেবেন না। অনেকেই রয়েছেন যাঁরা শিশুকে কোলে নিয়ে অযথা আদর করতে থাকেন। এ ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রাখুন। বাচ্চার গায়ে মুখ লাগাতে দেবেন না কাউকে। যতটা সম্ভব অন্যের কোলে দেওয়াও এড়িয়ে চলুন অন্তত এক মাস।
স্যানিটাইজার দিয়ে বার বার আপনার হাত ধুয়ে নিন। যে বা যাঁরা বাচ্চার দেখাশোনা করছেন, তিনি আয়াই হোন বা মা, তাঁর উচিৎ ঘন ঘন হাত পরিস্কার করা। কারণ আপনার হাতের জীবানু থেকে বাচ্চার শরীরে ক্ষতি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। ডেটল বা স্যভলন জাতীয় অ্যান্টিসেপ্টিকও ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় এই দিকগুলো মাথায় রাখুন।
অন্তত ছমাস পর্যন্ত বাচ্চাকে স্তনদুগ্ধ পান করান। সদ্যজাতর সবচেয়ে উপযুক্ত খাদ্য হল তার মায়ের দুধ। এই সময় মায়ের থেকেই পুষ্টি নেবে সন্তান। বাইরের কোনও খাবার এই সময় নৈব নৈব চ। মাকেও নিজের খাদ্য সম্পর্কে এই সময় সচেতন থাকতে হবে।
বাড়ির অন্যন্যদের জামাকাপড়ের সঙ্গে বাচ্চার জামাকাপড় কাচবেন না। কারণ এতে সংক্রমনের ভয় থাকে। রাস্তার ধুলো ময়লা থেকে যতটা সম্ভব ওকে আড়াল করেই রাখুন। ওর জামা কাপড় আলাদা জায়গায় ডেটল জাতীয় অ্যান্টিসেপ্টিক দিয়ে কাচুন।