ঘনঘন ব্রণ হলে বেশ বয়স কম ভাবতে ভালো লাগে, তাই না? কিন্তু ব্রণ হওয়াটা যতটাই সুখানুভূূতি, ব্রণর দাগ না মেটাটা কিন্তু ততোটা না। আর বাজারচলতি রাসায়নিক পণ্য ব্যবহারে ব্রণর দাগ মিটলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নানা সাইড এফেক্ট হয়। তাই বিকল্প হিসেবে দেওয়া হল কিছু ঘরোয়া টিপস, চোখ বুলিয়ে নিন তাতে।
নারকেল তেল
চুলের মতোই ত্বকের যে কোনও সমস্যায় কাজে লাগান নারকেল তেল। দাগ হালকা করার পাশাপাশি নারকেল তেল ত্বকের সুরক্ষা ব্যবস্থাও মজবুত রাখে। রাতে শোওয়ার আগে এক চাচামচ নারকেল তেল নিয়ে হাতের তালুতে ঘষে একটু গরম করে নিন। এবার ব্রণর দাগের উপর তেলটা লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। প্রতি রাতে করতে পারলে দাগ কমতে বাধ্য। তবে যাঁদের ত্বক খুব তেলতেলে, তাঁরা নারকেল তেল ব্যবহার করবেন না।
কমলালেবুর খোসা
বাজারে কমলালেবু পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই। কমলালেবুর খোসাটা ফেলবেন না, কারণ ওর মধ্যেই রয়েছে দাগহীন উজ্জ্বল ত্বকের চাবিকাঠি। কমলালেবুর খোসা প্রথমে রোদে শুকিয়ে নিন, তারপরে গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এবার এক চাচামচ মধু আর এক চাচামচ খোসার গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটা ব্রণ আর ব্রণর দাগের উপর ভালো করে লেপে দিন। শুকোনোর পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন-চারবার করে করতে পারলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফল দেখতে পাবেন।
অ্যালোভেরা জেল
ক্ষত সারানোর এক আশ্চর্য গুণ রয়েছে অ্যালো ভেরার মধ্যে। তা ছাড়া ব্রণর উৎপাত কমাতেও অ্যালো ভেরা কার্যকর। এক চাচামচ অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। প্রতি রাতে করতে হবে।
হলুদ
ত্বকের যে কোনও সমস্যায় হলুদের ব্যবহার সেই প্রাচীন যুগ থেকেই চলে আসছে। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডান্ট আর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের ক্ষত আর দাগ কমাতে খুবই কার্যকর। এক চাচামচ হলুদগুঁড়োয় খানিকটা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাগের উপর লাগান। 15 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। একদিন অন্তর একদিন লাগাতে হবে।