Advertisment

World Sleep Day 2022: ইনসোমনিয়া থাকা সত্ত্বেও শান্তিতে ঘুমাতে চান?জানুন কীভাবে

ঘুম নিয়ে আপস করবেন না, জেনে নিন কী করবেন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

ঘুম মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় সবথেকে জোরালোতম এক বিষয়। ঠিক মত ঘুম না হলে পরের দিন কাজের এক্কেবারে বারোটা। আর বর্তমান প্রজন্মকে দেখলে বোঝা যায় তারা বেশিরভাগই রাত জাগা পাখি, ২ টো ৩ টে সময়ের কোনও ধারাবাহিকতা নেই। এখন ইনসোমনিয়া রোগের আধিপত্য খুব বেশি, সহজে রাত্রিবেলা ঘুম না আসা এর লক্ষণ। ওয়ার্ল্ড স্লিপ কমিটির তরফ থেকেই শান্তিতে যাতে মানুষ ঘুমাতে পারেন সেইদিকে নজর রাখা রয়েছে। 

Advertisment

প্রতিবছর এইদিন পালিত হয় বসন্ত আগমনের ঠিক আগের শুক্রবার। মানুষের সবসময় শান্তির ঘুম প্রয়োজন ফলেই, নিজেকে শান্ত রাখার প্রয়োজনীয়তা আছে বৈকি। বিশেষ করে করোনা পরবর্তীতে এই সমস্যা অর্থাৎ ইনসোমনিয়া আরও বেশি করে চাগাড় দিয়েছে। চিকিৎসক এইচ পি ভারতী বলছেন এই রোগের কারণে ঘুমের অভ্যাস এক অদ্ভুত দিকে বদলায়। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে না, এদিকে সকালে হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে যায় সঙ্গে ফের ঘুমানোর চেষ্টা বৃথা হয়। বয়েসের কারণে এটি আরও সমস্যা করতে পারে। 

অন্যদিকে চিকিৎসক অনিমেষ আর্য বলছেন, ডিপ্রেশন, উদ্বেগ, মানসিক চাপ সংক্রান্ত ওষুধ অনেক সময় এই রোগের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এদের দৈহিক সার্কেডিয়ান রিদম পরিবর্তিত হয় মানুষ অযথাই ঘুম নিয়ে ঝামেলায় ভোগেন। 

ইনসোমনিয়া কীভাবে কম করবেন? 

প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে ভাল একটি ডায়েট, কিংবা পরিষ্কার জায়গায় বিছানায় ঘুমানো এগুলি একটু মাথায় রাখতে হবে। 

নীল আলোর সহযোগে একটি ভাল সুন্দর মনোরম পরিবেশের আয়োজনে তবেই ঘুমাবেন। এতে মন শান্ত থাকে। 

ক্যাফেইন গ্রহণ করার পরিমাণ কমিয়ে দিন। এতে ঘুম ভাল হয়। 

ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন এর সাহায্য নিন। প্রবায়টিক খাওয়া অভ্যাস করুন। 

মানসিক সমস্যা যেমন উদ্বেগ, ডিপ্রেশন এগুলির চিকিৎসা করান। 

বোটানিক্যাল মেডিসিন, এল থিয়ানিন, ছাড়াও মানসিক উদ্বেগ সংক্রান্ত ওষুধ, আদ্যপ্তজেন্স, অশ্বগন্ধা এগুলির থেকে সাবধান। 

হরমোনাল ইমব্যালেন্স এবং গ্লাইসিন তথা মেলাটোনিন, সঠিক মাত্রায় রাখার চেষ্টা করুন তবেই অসুস্থতা থাকবে না। ইনসোমনিয়া কোন কোন জিনিষ থেকে বাড়তে পারে সেই সম্পর্কে জানা দরকার, নইলে মুশকিল!

sleep insomnia
Advertisment