এখন কিন্তু শুধু চেহারা আর মেকাপের ওপর আপনার ব্যক্তিত্ব নির্ভর করে না। জামাকাপড়ের পাশাপাশি খুব গুরুত্বপূর্ণ অ্যাক্সেসরিজ। আর সেখানেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাগ, বেল্ট, জুতো ইত্যাদি। আর চামড়ার হলে তো কথাই নেই। কিন্তু চামড়ার ব্যাগ আর জুতোর ক্ষেত্রে একটু যত্ন আত্তির প্রয়োজন রয়েছে।
তাই চামড়া বা লেদারের জিনিস যত্নে রাখতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতেই হয়। জানেন কি কোন কোন উপায়ে আপনার প্রিয় ব্যাগ, জুতা বা বেল্টকে একেবারে নতুনের মতো রাখতে পারেন? দেখে নিন উপায়।
বাজারে লেদারের জিনিস পরিষ্কার করার আলাদা ক্লিনার পাওয়া যায়। একে ‘সফট সোপ’-ও বলে। এই ক্লিনার দিয়েই লেদারের ব্যাগ বা জুতা পরিষ্কার করুন।
ক্লিনারটি দিয়ে পরিষ্কার করার পরে হালকা ভেজা তুলা দিয়ে তা মুছতে থাকুন। দেখবেন যাতে চামড়ার গায়ে কোনভাবে সাবান না লেগে থাকে। বছরে ২-৩ বার এভাবে পরিষ্কার করুন।
আরও পড়ুন, চামচ দিয়ে কী ভাবে দূর করবেন চোখের তলার কালি?
কখনই লেদারের জিনিস অ্যালকোহল বা স্পিরিট জাতীয় জিনিস দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। এতে রং নষ্ট হয়ে যায়।
লেদারের জিনিসে জল লাগলে সঙ্গে সঙ্গে তা ঝেড়ে ফেলে শুকাতে দিন।
বর্ষায় লেদারের ব্যাগ বা জুতা ব্যবহার না করাই ভাল।
ব্যাগে বা জুতায় কোনও রকমের দাগ দেখলে তা সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে নিন।
অনেকে চামড়ার জিনিসকে উজ্জ্বল করার জন্য তেল ও কন্ডিশনার ব্যবহার করেন। এটি খবরদার করবেন না। সাময়িক জেল্লা আনলেও ব্যাগের রঙের ক্ষতি হয় এতে।
বাজারে লেদার কন্ডিশনার পাওয়া যায়। তাই দিয়েই ব্যাগ বা জুতার জেল্লা ফেরান।
আরও পড়ুন, এইসব কাজ নিমেষে করতে পারবেন সিলিকা জেল দিয়ে, জানতেন?
লেদারের জিনিস ব্যবহার করার সময়ে নিজের হাতও পরিষ্কার রাখুন। হাতে কোনও ময়লা বা তেল যেন না লেগে থাকে।
লেদারের জিনিস কখনও ভাঁজ করে রাখবেন না। ব্যাগ ফাঁকা থাকলে তার মধ্যে খবরের কাগজ বা বাবল র্যাপ, নিদেন পক্ষে পুরনো জামাকাপড় ভরে রাখুন। এতে ব্যাগের আকার অটুট থাকবে।
লেদারের জিনিস হেয়ার স্প্রে, হেয়ার কালার সলিউশনের থেকে দূরে রাখুন। এতে স্পিরিট জাতীয় কেমিক্যাল থাকে যা লেদারের রং নষ্ট করে দেয়।
চামড়ার জিনিস দিন পনের অন্তর আলমারি থেকে বের করে আলো-হাওয়া পূর্ণ জায়গায় রাখুন।