আপনি কি রোজ হাওড়া স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন? রোজকার দৌড়ঝাঁপ করে ট্রেনে ওঠার ঝক্কি পোহাতে পোহাতে ক্লান্ত? স্টেশনে বসলেই ঘাড়ের উপর ওই ফ্যানের দিকে তাকিয়ে খুব রাগ হয়? ওই ফ্যানের হাওয়া যে কোনদিকে যায়, তা আপনি বুঝতেই পারেন না। তবে এই ছবি এবার বদলাচ্ছে। হাওড়া স্টেশনের যাত্রীদের জন্য সুখবর আনল পূর্ব রেল। এবার স্টেশনে ঢুকলেই উপর দিকে তাকালেই আপনার চোখ ইয়া বড় বড় হয়ে যাবে। হ্যাঁ, ইয়া বড় তো বটেই। দৈত্যাকার চেহারার এগারোটি সিলিং ফ্যান লাগানো হলো রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশনে।
পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত মোট এগারোটি এইচভিএলএস ফ্যান লাগানো হয়েছে। যার মধ্যে সাতটি জায়েন্ট ফ্যান লাগানো হয়েছে হাওড়া স্টেশনের পুরনো কমপ্লেক্সে, আর চারটি নিউ কমপ্লেক্সে। এই এগারোটি বিশালাকার ফ্যান বসাতে খরচ হয়েছে মোট ৪৭,২০,০০০ টাকা।
হাওড়া স্টেশনে লাগানো সেই জায়েন্ট ফ্যান। ছবি: পূর্ব রেল
শুধু কি হাওড়া স্টেশনেই এই অত্যাধুনিক ফ্যান লাগানো হয়েছে? পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "পূর্ব রেলের বিভিন্ন প্রধান স্টেশনে প্রথমে লাগানো হবে। শিয়ালদহ স্টেশনেও এধরনের ফ্যান লাগানো হবে। এছাড়া বর্ধমান, আসানসোলের মতো স্টেশনেও লাগানো হবে জায়েন্ট ফ্যান। প্রথমে বড় স্টেশনগুলোতে লাগানো হবে। পরে ছোট স্টেশনগুলোতেও এ ধরনের ফ্যান লাগানো হবে।" জায়েন্ট ফ্যান প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, আগামী দিনে হাওড়া স্টেশনে আরও এমন ফ্যান বসানো হবে।
আরও পড়ুন, কলকাতা মেট্রোয় বসছে ভার্চুয়াল গ্রসারি স্টোর?
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ধরনের একটি ফ্যানের হাওয়া ১৫৭৯ বর্গ মিটার পর্যন্ত এলাকায় পৌঁছবে। এধরনের ফ্যান ঘুরলে কোনওরকম শব্দও হবে না বলে জানা গিয়েছে। তাছাড়া শীতকালেও গরম বাতাস টানবে এধরনের ফ্যান। জায়েন্ট ফ্যান ঘুরলে হাওয়া যেমন বেশি পাওয়া যাবে, সেই অনুপাতে কিন্তু বিদ্যুতের খরচ বেশি হবে না। বরং এ ধরনের ফ্যানে বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে অনেকটা।