আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জ্বর, সর্দি, কাশি প্রতি ঘরে ঘরে লেগেই রয়েছে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি থেকেও মানুষের চিন্তার শেষ নেই। যদিও বা দেশের নানান স্তরে ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রক্রিয়া অব্যাহত তারপরেও এমন অনেকেই আছেন ,যারা এখনও পর্যন্ত টিকা গ্রহণের সুযোগ পাননি।
অনেক মানুষই সাধারণ ইনফ্লুঞ্জা এবং ভাইরাল ফিভার দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন নানান সময়ে। অনেক সময় ভাইরাল ফিভার রোধ করতে ইনফ্লুনজার সাধারণ টিকা নিতে হয় রোগীদের। কোভিড -১৯ সংক্রান্ত স্ট্রোক, সেপসিস, রক্ত জমাট বাঁধা, এছাড়াও নানান সমস্যার থেকে কিন্তু মুক্তি দিতে সক্ষম ইনফ্লুনজা ভ্যাকসিন। সমীক্ষা অনুযায়ী, যেসব করোনা আক্রান্ত রোগীরা ইনফলুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট-এর অধীনেই থাকার প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ তাদের মধ্যে রোগের বাড়বাড়ন্ত থাকে না বললেই চলে।
মিলার স্কুলের অধ্যাপক, দেবিন্দ্র সিং বলেন, বিশ্বের খুব কম মানুষই ভ্যাকসিনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। আর অতিমারিতে বিশ্বের নানান স্তরেই অবনতির লক্ষণই বিদ্যমান। মানুষের মৃত্যু কমাতে হবে এবং তাদের সুস্থ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, তার টিম ইনফলুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন এবং করোনা রোগীদের অসুস্থতার মধ্যে একটি গবেষণা চালিয়েছেন।
গবেষকরা ট্রাইনেটএক্স রিসার্চ ডাটাবেসে ডি-সনাক্ত ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য রেকর্ডগুলি পরীক্ষা করতে ৭০ মিলিয়নেরও বেশি রোগীর জন্য ৩৭,৩৭৭ রোগীর দুটি গ্রুপ চিহ্নিত করেন। প্রথম অধ্যয়ন অনুযায়ী গোষ্ঠীর সদস্যরা কোভিড -১৯ দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার দুই সপ্তাহ ছয় মাস আগে ফ্লু ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় গ্রুপে যারা ইতিবাচক কোভিড -১৯ রোগ নির্ণয় করেছিল কিন্তু ফ্লুর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া হয়নি। কোভিড -১৯ এর ইতিবাচক পরীক্ষার ৩০,৬০,৯০ এবং ১২০ দিনের মধ্যে দুটি গ্রুপের তুলনা করা হয়েছিল। বিশ্লেষণে জানা গেছে, যাদের ফ্লু শট ছিল না তাদের আইসিইউতে ভর্তির সম্ভাবনা ছিল। ফ্লু ভ্যাকসিন দিয়ে টিকা দেওয়া রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি কমেনি তবে বেশ কিছু উপসর্গ ক্ষীণ হয়ে পড়ে।
<আরও পড়ুন কোভিডে নাক-কান-গলার সমস্যা! প্রতিকার পাবেন কী করে?>
গবেষণায় আরও দেখা যায় , প্রায় বেশ কিছু রোগীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যেই ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়া দরকার। আরও কিছু রোগীর সেপসিস থেকে মুক্তি পেতে ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন। ইনফলুয়েঞ্জা শট কিভাবে মানুষের শরীরের জন্য উপযোগী সেই বিষয়ে কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায় নি ,তবে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে, ফলে বাড়াবাড়ি হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।
তবে , চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কোভিড ভ্যাকসিন অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত। অনেক দেশেই বর্তমানে টিকা মিলছে না বলেই জানিয়েছেন অধিবাসীরা। করোনা টিকা অবশ্যই পরিবেশের প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা প্রদান করতে পারে মানুষকে। তাই এই টিকা গ্রহণ করতে পারেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন