প্রতিটি মানুষের শরীরের নির্দিষ্ট একটি ধরণ রয়েছে হাকে আয়ুর্বেদের ভাষায় প্রকৃত বলা হয়। শরীরের সক্রিয়তা এবং দুর্বলতা সবকিছুই নির্ভর করে এই দশার ওপর। তেমনই বেশিমাত্রায় কোনও সমস্যা গ্রাস করলে সেটিকে পরিবর্তন করাও যায় আবার, তার মাত্রাকে উন্নীত করা সম্ভব।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ভারালক্ষী ইয়ামারেন্দ্র বলছেন, এমন অনেক আয়ুর্বেদিক ওষধি রয়েছে যেগুলি, শরীরের তিনটি দশাকে বেঁধে রাখতে সাহায্য করে। এবং যেহেতু এর ওপরেই নির্ভর করে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, তাই নির্দিষ্ট কিছুর প্রয়োগে একে উন্নত করা যায়। সহজ ভাষায় একে অ্যান্টিডট অবশ্যই বলা যায়।
ভাতা দশা :- ভাতা দশায় শরীরকে আরও দুর্বল করে তোলে। সুতরাং একে সক্রিয় করে তোলে অবশ্যই দরকার। সেই বিষয়ে নজর দিতেই এর ক্ষেত্রে প্রয়োজন, তেল। যেকোনও ধরনের তেল হলেও তিলের তেল এক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী।
তেলের মধ্যে দিয়ে অভয়াঙ্গ, কিংবা এই তেল দিয়েই রান্না করা উচিত। দীর্ঘদিন ধরে এই উপায় অবলম্বন করলে অবশ্যই, শরীরের ব্যথা বেদনা দুর করা যায়। এবং দৈহিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। শরীর যথেষ্ট গরম থাকে।
পিত্ত দশা :- পিত্ত দশা বেশি থাকলে, শরীরে ঠান্ডা লাগার ধাত থাকে। সুতরাং সেদিকে নজর রাখা খুব দরকার। এছাড়াও খাবার খাওয়ার ইচ্ছে একেবারেই থাকে না। তাই সেইদিকে নজর রাখা দরকার। ঘি সেক্ষেত্রে সবথেকে ভাল প্রমাণিত হতে পারে।
ঘি কে নিজের স্বাভাবিক জীবনে ব্যবহার করার এক এবং অনেক উপায় রয়েছে। যেমন, একে কাজে লাগিয়ে যেমন খাবার বানানো যায়। তেমনই চোখের ওপরে হালকা মালিশ করে রাতে ঘুমানো যায়। আবার নাস্যার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে পায়ের পাতায় মালিশ করলেও অনেক সমস্যা কমে।
কাফা দশা :- শরীরের নানা রোগ যেমন ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেসার কিন্তু কাফা দশার কারণেও হতে পারে। তাই এই সমস্যার থেকে রেহাই পেতেই সবথেকে ভাল বিকল্প মধু। মধু আদতে মিষ্টি হলেও শরীরের প্রয়োজনে ভাল কাজে আসতে পারে। এটি শরীরের ভেতরে গরম ভাব রাখতে পারে। শরীরে আনুসঙ্গিক রোগ থাকলে কিন্তু খুবই বিপদ। তাই অবশ্যই এগুলির সঙ্গেও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।