হাইপোথাইরডিসম অবশ্যই থাইরয়েডের একটি রূপ বিশেষ এবং যথারীতি মানুষের নানান অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। তবে এটি সাধারণ থাইরয়েডের থেকে একটু আলাদা। যেমন? এই প্রসঙ্গে আগে জেনে নেওয়া যাক।
Advertisment
হাইপোথাইরডিসম আসলে সেই জাতীয় রোগ যার কারণে থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজন মত হরমোন ক্ষরন করতে পারে না। সহজে এই রোগের সম্পর্কে জানা যায় না। ধীরে ধীরে এটি শরীরে প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে হার্টের সমস্যা, স্থূলতা, পেশীতে ব্যথা এবং প্রজননে বাঁধা এগুলি দেখতে পাওয়া যায়।
থাইরয়েডের থেকে বেশ আলাদা কিন্তু এর কারণে হরমোনাল প্রভাব সাংঘাতিক পরে, মাথায় রাখতে হবে যে কেন এই রোগটি বাড়তে পারে আবার কেন কী কারণে শরীরে এটি দেখা যায়, মানুষের নিজস্ব ভুলের কারণে এ জাতীয় সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তার জন্যই প্রয়োজন ডায়েট, সাপ্লিমেন্ট এবং কিছু ভুল অভ্যাসের পরিবর্তন। প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ অলকা বিজয়ন।
প্রথম, যারা এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত তাদের কিন্তু একেবারেই কাঁচা সবজি খাওয়া ঘনঘন উচিত নয়। একটু হলেও সেটিকে হালকা জল ঝরিয়ে নিন।
দ্বিতীয়, অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যায়াম করেন কিন্তু খিদের দিকে ধ্যান দেন না, এটি কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। এর থেকে থাইরয়েডের মাত্রা বাড়তে পারে।
তৃতীয়, খাবার দাবার স্কিপ করবেন না। এতে সমস্যা বাড়তে পারে। সঠিক সময়ে সঠিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। দীর্ঘ দিন এটি চলতে থাকলে খিদে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।
চতুর্থ, দিনের বেলা খাবার খাওয়ার পর অতিরিক্ত ঘুমানো! এটি কিন্তু বেশ খারাপ। তার কারণ, এটি শরীরের সব ধরনের হরমোনের মাত্রা এদিক ওদিক করতে পারে। ন্যাপ এবং দীর্ঘ ঘুমের মধ্যে পার্থক্য বুঝুন।
পঞ্চম, যখনই ইচ্ছে হয় তখনই জল খান? তবে খুব মুশকিল! আর খেলেও সবসময় বেশি মাত্রায় নয়, অল্প পরিমাণে জল খাওয়া অভ্যাস করুন।
মাথায় রাখবেন থাইরয়েডের ক্ষেত্রে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে সুতরাং এমন কিছু করা চলবে না যাতে স্থূলতা বাড়তে পারে। আলোচ্য কাজগুলি বেশি করলে ওজন কমা তো দুর বরং, বমি এবং খিদে হ্রাস, হাত পা ফুলে যাওয়া সঙ্গেই আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।