কথায় বলে শিশুরা ছোট থেকে ঠিক যেমন দেখে তেমনই শেখে অথবা সেই বিষয়টি তাদের ওপর বিরাট ভাবে প্রতিফলিত হয়। ওদের আচরণ, কথা বলার ধরন থেকে সবকিছুই শুধু ওদের নিজেদের ওপরেই সীমাবদ্ধ নয়, অভিভাবক থেকে পরিস্থিতি দুটোই সমানভাবে দায়ী।
বেশিরভাগ সময় দেখা যায় অল্পতেই রেগে যাওয়া, অভব্য আচরণ করা এবং চিৎকার চেঁচামেচি অশান্তি করা অনেক বাচ্চার প্রতিদিনের অভ্যাস। মানুষকে সম্মান না দিয়ে কথা বলা হোক অথবা তাদেরকে আঘাত করা এগুলি কিন্তু সেই সব বিষয়ের মধ্যে লক্ষ্যণীয়। এবং শিশুদের এই আচরণই কিন্তু অন্যদের মনে তাকে খারাপ জায়গায় বসাতে পারে।
তবে এই বিশ্বে সবকিছুর পেছনেই একটা কারণ আছে তেমনি এটিও ব্যতিক্রম নয়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে যদি আপনি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন তবেই এর থেকে রেহাই পেতে পারেন।
বর্তমান পরিস্থিতি আপনার কাছে একরকম তবে ওদের কাছে আরেকরকম। যে নজর দিয়ে আপনি দেখছেন সেই নজর দিয়ে শিশুটি নাও দেখতে পাবেন এবং বেশিরভাগ সময় সেই ছাপ ওদের চোখে মুখেই প্রকাশ পায়। যদি ওরা বিরক্তি বোধ করে তবে জানতে হবে একেবারেই মানসিক ভাবে চারিপাশের সবকিছু ও মেনে নিতে পারছে না তাই ওর সঙ্গে কথা বলেই সমস্যা দূর করার চেষ্টা করুন।
কোনরকম পার্থক্য, বয়সের ফেরে বিভেদ এবং লিঙ্গ বৈষম্য জাতীয় কিছু অনেক বাচ্চাই মেনে নিতে পারে না। তাই এগুলি ওদের খুব রাগের কারণ, বিশেষ করে যাকে নিয়ে তুলনা করা হয় অথবা ওকে পিছিয়ে দেওয়া হয় তাদের ওপরই রাগ ক্রমশ বাড়তে থাকে। নিজের অবধারিত আগের থেকে বেশি জেদি করে তুলবে সেই শিশু।
আরও পড়ুন < শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি থাকে? জেনে নিন >
অনেকসময় এমনও দেখা যায়, শরীর খারাপ থাকলেই বাচ্চারা মানসিকভাবে বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই থেকেই ওদের কোনোকিছুই ভাল লাগে না এবং কারওর সঙ্গে কথা বলা তো দূর কেঁদে কেটেও ভাসায় অনেকেই।
আপনার শিশু অন্য বাচ্চাদের দ্বারা মানসিকভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে না তো? অনেকসময় বালিং, মানসিক চাপ এবং বন্ধুদের খারাপ কথা থেকেও রাগ এবং জেদের মাত্রা বাড়তে পারে। তাই ওদের থেকে খারাপ ভাল সবকিছুই জানার চেষ্টা করুন।
অনেকসময় খারাপ প্রভাব এবং যুক্তিও শিশুদের মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। এমন কোনও মানুষের সংস্পর্শে যেতেই দেবেন না যার থেকে এরকম কিছু ঘটতে পারে। বিশেষ করে যদি অতীতে কোনও খারাপ ঘটনা বা ট্রমা থাকে সেটিই থেকে ওকে বের করে নিয়ে আসুন। নাহলে আপনার মুশকিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন