PCOS and Health: পিসিওএস অথবা পলিসিস্টক ওভারি সিনড্রোম এখন সমস্ত রোগগুলির মধ্যে বেশ সাধারণ একটি বিষয়। নারীদেহে এটি খুব স্বাভাবিক একটি সমস্যা। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, অন্তত ১০ জনের মধ্যে ৩ জন এই রোগ দ্বারা ভুগছেন। এবং এই নিয়ে এখন চিকিৎসার এখন অন্ত নেই - তেমনই হরমোনাল সমস্যা যেহেতু এই নিয়ে বুজরুকি সাংঘাতিক। তবে বিশেষজ্ঞের মতামত কী সেই নিয়ে জানা খুব দরকার।
চিকিৎসক বৈশালী যোশী বলেন, পিসিওএস থাকার অর্থ অনিয়মিত ঋতুস্রাব, স্বল্প পরিমাণে ফ্লো থাকা, এছাড়াও ব্রণর সমস্যা, অতিরিক্ত দৈহিক পশম, ওজন হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া সঙ্গেই চামড়া কালো হতে থাকে ক্রমশই। সহজ ভাষায় যাকে হরমোনাল ইমব্যালেন্স বলা হয় সেই জাতীয় রোগ। অনেক সময় এটি শরীরে থাকলে অত্যধিক ইনসুলিন ক্ষরণ হতে পারে। তবে তাই বলে পিসিওডি আর পিসিওএস কিন্তু এক নয়। দুটির চিকিৎসা একেবারেই আলাদা।
তবে পিসিওএস নিয়ে ভুল ধারণার একেবারেই শেষ নেই। অনেকেই মনে করেন এটি সাংঘাতিক একটি রোগ এবং এর থেকে মেয়েদের অনেকরকম ক্ষতি হতে পারে যেটি একবারে ভুল ধারণা। সেগুলি সকলের জানা দরকার নয়তো আপনার সঙ্গে সঙ্গেই অন্যেরও মুশকিল।
প্রথম, কেবলমাত্র অল্প বয়সি মেয়েদের মধ্যেই পিসিওএস এর লক্ষণ মেলে? একেবারেই নয়! মেনোপজের আগে পর্যন্ত যে কারওর হতে পারে এই সমস্যা। বয়স কোনও বিষয় নয় এই ক্ষেত্রে।
দ্বিতীয়, পিসিওএস থাকলেই যে পিসিওড থাকব এমন কোনও বিষয় নয়। প্রচুর স্বাস্থ্যবান মহিলাদের শরীরে পিসিওএস থাকে তার মানে এই নয় তাদের আরেকটি থাকতে বাধ্য, শরীর বুঝেই এসব হয়।
তৃতীয়, পিসিও ড অথবা পিসিওএস আপনার তলপেটে একেবারেই ব্যথার সৃষ্টি করে না। চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী এটি ১০ মিমি এর থেকেও ছোট হয়। কারওর ক্ষেত্রে আবার জলের বিন্দু বিন্দু দেখতে অনেকগুলি একসঙ্গে থাকে এমনও হয় তাই এর থেকে ভয়ের কিছুই নেই। ওভারিয়ান সিস্ট থাকলে হালকা ব্যথা অনুভূত হতে পারে তবে এটি থেকে নয়।
চতুর্থ, অনিয়মিত ঋতুস্রাব এবং স্বল্প ফ্লো মানেই তার থেকে পিসিওএস হতে পারে এই ধারণাও ভুল। সবসময় এমন হবে তার কোনও লক্ষণ পরিষ্কার নয়। অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলেও চিকিৎসকরা এই রোগকে চিন্তা করেন। তাই ওবেসিটি অথবা চর্বি কোনওটাই এরজন্য সরাসরি ভাবে দায়ী নয়।
আরও পড়ুন < শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি থাকে? জেনে নিন >
পঞ্চম, যাদের ওজন বেশি শুধু তাদেরই পিসিওএস হতে পারে? একেবারেই নয়। খারাপ এবং অনিয়মিত জীবনযাত্রা থেকেও এটি হতে পারে। রোগা মানুষেরও এই সমস্যা হতেই পারে।
ষষ্ঠ, ব্রণ বেশিরভাগ সময় পিসিওএস থেকে হবে এমনও কোনও প্রমাণ নেই। ত্বকের সমস্যা, খুশকি, অথবা অ্যালার্জি থেকেও হতে পারে।
সপ্তম, যাদের পিসিওএস থাকে তাদের প্রজননে সমস্যা হয়? এর কারণে ডিম্বাণুর মাত্রা কিঞ্চিৎ কমতে পারে তবে বেশি নয়। তাই এমন ভাবার কোন কারণ নেই। সাধারণ ভাবেও কনসিভ করা যায় এতে কোনও সমস্যা নেই।
রোগ নিয়ে নাড়াচাড়া বন্ধ করে নিজেকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন তবেই আপনার নিজের লাভ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন