Omicron And Diabetes: প্রথম ঢেউএর সময় থেকেই করোনা এবং ভাইরাসের নানা ভ্যারিয়েন্ট এর প্রভাব ডায়াবেটিক রোগীদের ওপর সাংঘাতিক মাত্রায় পরে। প্রথম থেকেই ঠিক এই কারণেই তাদের ভীষণ সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে যেহেতু নতুন ভাইরাসের কারণে উদ্বেগ সর্বত্রই তাই তাদের জন্যও আতঙ্ক থাকছে বইকি!
আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন, তবে প্রথমেই নিজেকে ভ্যাকসিন গ্রহণ সম্পূর্ণ করতেই হবে। তারপরে রয়েছে আলাদা সবরকম বিষয়! ঠান্ডা লাগানো চলবে না, নিজেকে ভাইরাস থেকে দূরে রাখতে মাস্ক, স্যানিটাইজার এগুলি বাধ্যতামূলক। তবে তার সঙ্গেও চিকিৎসকরা দিচ্ছেন নানা পরামর্শ।
ডায়াবেটিক রোগীদের কেন সমস্যা বেশি?
ওমিক্রন গবেষকদের মতে এর মিউটেশন সংখ্যা সাধারণ সুস্থ শরীরকে আক্রমণ করতেই সক্ষম, সেখানে ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে আগে থেকেই ইমিউনিটি কম থাকে, এবং ভ্যাকসিন কাজ করতে দেরি করে ফলেই টি সেলের মাত্রা সহজে বৃদ্ধি পায় না - ফলেই অমিক্রন ডায়াবেটিক রোগীদের সহজেই প্রভাবিত করতে পারে।
অনেকেই আবার এমন আছেন ডায়াবেটিক রোগী তবে ওজনও বেশি। এদের কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি। তাই চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী নিজেকে সুস্থ রাখতে গেলে সময়মত ইনসুলিন নিতে হবে। শ্বাসযন্ত্রের যত্ন নিতে হবে, ঠান্ডা খাবারদাবার খাওয়া চলবে না। এবং বাড়ির ভেতরেই চেষ্টা করতে হবে ব্যায়াম করার।
খাবার দাবারে কেমন বদল আনা জরুরি?
চিকিৎসকদের মতে ভাল একটি ডায়েট থাকা এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। বিশেষ করে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার ইনফেকশন এবং ভাইরাসের হাত থেকে অনেকটা বাঁচাতে পারে। অর্থাৎ বাদাম জাতীয় খাবার - ফল এবং ভিটামিন সি ও এ সমৃদ্ধ সবজি এগুলি খেতেই হবে। দৈহিক DNA কে আরও উজ্জীবিত করে তুলতে হবে। যাতে ইমিউনিটি আরও বেড়ে যায়।
তবে আরেকটি বিষয়! অনেকেই ডায়াবেটিসের সঙ্গে ব্লাড সুগারের রোগী। তাই অন্তত ৩ মাস অন্তর চেকআপ তথা ব্লাড টেস্ট করানো দরকার। ভবিষ্যতে এম-রেনা বুস্টার ডোজ নেওয়ার আগে একবার টেস্ট করিয়ে সুগারের মাত্রা দেখে নেবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন