ওজনের সঙ্গে মানুষের মানসিক ভাবের সাংঘাতিক সম্পর্ক। অযথা স্থূলতা কিংবা ওজন বেড়ে গেলে কেউই পছন্দ করেন না। শরীরে বেশ কিছু রোগ আছে যেমন থাইরয়েড কিংবা সুগার অথবা নারীদেহে pcos এগুলির থেকে ওজন কমানো খুব মুশকিল! ওজন কমানো একেবারেই সম্ভব হয় না। কেন?
Advertisment
ইউভি হেলথের সদস্যরা বলছেন যারা pcos সমস্যায় ভুগছেন তারা একেবারেই ওজন কমানোর ভাবনা এলেও সেটি কার্যকরী করে তুলতে পারেন না। এর প্রথম এবং প্রধান কারণ ইনসুলিনের হ্রাস বৃদ্ধি ও ডায়েটের গরমিল। অনেকেই পিসিওএস আছে জেনেও নিজেকে লাগাম দেন না, খাবারের সম্পর্কে কোনও বাঁধা তারা মানেন না।
প্রথম কারণ, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলেই ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করে না। এটি আসল মুশকিল! তখনই শরীরে মেদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ফ্যাট ক্রমশ জায়গা করে নিতে থাকে বিশেষ করে তলপেট সংলগ্ন অঞ্চলে।
দ্বিতীয়, ইনসুলিন যেই বেড়ে যাবে সঙ্গে সঙ্গে মানুষের খিদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। দেখা যায় যে রাতের বেলাই খিদের পরিমাণ বাড়ে এর থেকে মানুষ চাইলেও মুখে লাগাম দিতে পারে না। এই ক্রিভিং একেবারেই পুষ্টিকর খাবার খেতে দেওয়ার পক্ষপাতী না।
তৃতীয়, প্রতিটা শরীরে অ্যাপেটিট হরমোন থাকে। আর pcos যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে এটি ভুলভাল ভাবে খাবার ইচ্ছে সৃষ্টি করে। এই ধরনের হরমোন ক্ষরণ এর মাত্রাকে অযথা বৃদ্ধি করে। ফলেই ওজন কমার সম্ভাবনা থাকে না।
চতুর্থ, হাই গ্লাইসেমিক জাতীয় খাবার আপনার পক্ষে ভাল নয়। কারণ এগুলি রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি করে।প্রসঙ্গত, চিনি, ভাত, আলু এবং সোডা অথবা ড্রিংক না খেলেই ভাল।
তাই পিসিওএস থাকলে একটু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই খাবার খাবেন। নিজের ওপর নজর রাখবেন।