এখনকার দিনে দাঁড়িয়ে মাংস খেতে পছন্দ করেন না এমন ব্যক্তি খুবই কম আছেন, বিশেষ করেই অল্পবয়সীদের মধ্যে এমন কেউই নেই। এবং যদি আপনি নিজের সাপ্তাহিক খাবারে মাংস অন্তত দুইদিন অন্তর্ভুক্ত করেন তবে জানবেন আপনার নিজেরই মঙ্গল। এত শরীরের জন্য খুব কার্যকরী। অন্তত সেই ধারণাই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ টিম গ্রে।
তাঁর বক্তব্য, মাংস মানেই সেটি শরীরের পক্ষে আশির্বাদ। এবং এই কথা একেবারেই অস্বীকার করা উচিত নয় যে এটি মানবদেহে শক্তি প্রদান করে। তিনি আরও বলেন, যারা সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার খান, তারাও বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পেতেই পারেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিন্তু দেখা যায় এই বিষয়টি বেশ সময় সাপেক্ষ। যেইখানে দাঁড়িয়ে একজন আমিষ ভোজী মানুষ সহজেই পুষ্টি এবং প্রোটিনের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই চট জলদি পেতে পারেন।
টিমের বক্তব্য, মাংস কিন্তু আলাদাভাবেই মানবজীবনে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উৎপাদিত শাক সবজি যেমন উপাদেয় তেমনই সেইসব প্রাণী যারা নিজেরাও সূর্যের আলোয় বৃদ্ধি পায় তাদের মধ্যেও পুষ্টি কিছু কম নেই। প্রোটিনের আধার মাংস এবং এই জাতীয় খাদ্য। সঙ্গেই সেই সমস্ত প্রাণী শাক পাতা খেয়েই বড় হয়ে ওঠে। আর বাস্তুতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য খাদক সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
মাংসের সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরে ঠিক কী কী প্রয়োজনীয় উপাদেয় বস্তু সরবরাহ হয় সেই বিষয়ে জানা আছে? টিম বলেন, এর সঙ্গে সঙ্গেই যথারীতি প্রাকৃতিক সবকিছুই আপনি খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে পেতে পারেন।
প্রথমেই আসে সূর্যশক্তি! যেহেতু এই বিশ্বে সবকিছুই তার আলোতেই বেড়ে ওঠে, সেই কারণে সবকিছুতেই সূর্যরশ্মির প্রভাব খুবই বেশি থাকে। এটি আপনার শরীরে চাহিদা মেটায়।
দ্বিতীয়, বৃষ্টি এবং জলীয় সম্পদ প্রচুর পরিমাণে থাকে প্রাণীদের দেহে। মাংসের সঙ্গে সেই বিষয়টিও সম্পন্ন হয়।
তৃতীয় হল, পৃথিবীর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সবকিছুই আপনার শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয়। ভিটামিন থেকে মিনারেলস সবকিছুই আপনার জন্য দরকারি।
চতুর্থ, মাংসের সঙ্গেই শাক সবজি, গাছপালা এবং উদ্ভিজগুণ শরীরে অনায়াসে সরবরাহ হতে পারে। তাই জন্যই এগুলি সেই চাহিদাও মেটায়।
পঞ্চম, প্রয়োজনীয় সমস্ত নিউট্রিশন আপনি এর মাধ্যমে পেতে পারেন। কারণ এগুলি এনার্জির উৎস। মাসেল ভাল হয়, ব্যথা বেদনা কমে।
জীবনের নানান স্তরে সুস্থতা বজায় রাখতে গেলে কিন্তু মাংসের থেকে ভাল খাবার আর কিছুই হয় না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন