নতুন বছরে কিন্তু সুস্থতার কথা ভুলে গেলে একেবারেই চলবে না। কারণ সবথেকে আগে শরীর স্বাভাবিক আর সুস্থ রাখা দরকার। শুধু যে ওমিক্রন আতঙ্ক সেটি কিন্তু একেবারেই নয় - তার সঙ্গেই করোনা ছড়িয়ে পড়ছে নতুন ভাবেই, বেশিরভাগ মানুষ নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। গ্রাফ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। তবে নিজের সঙ্গে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের খেয়াল রাখা এইসময় খুব প্রয়োজনীয়।
সংক্রমণের প্রসঙ্গে বলতে গেলে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট থেকে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। এবং ওদের যেহেতু ভ্যাকসিন এখনও শুরু হয় নি তাই যথেষ্ট যত্নে রাখা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য ভাবনা অনুযায়ী শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে কিন্তু খুব সমস্যা।
কীভাবে বুঝবেন আপনি ভাইরাস আক্রান্ত?
অবশ্যই ৩১' এবং ১ জানুয়ারির আনন্দঘন মুহূর্ত হোক কিংবা কারওর সংস্পর্শ যেকোনোভাবে আপনি সংক্রমিত হতে পারেন। আপনার উপসর্গ হালকা থাকতে পারে এবং সাংঘাতিক হতেও পারে। হালকা জ্বর, সর্দি কাশি, স্বাদ গন্ধের অবলুপ্তি হলে বুঝতে হবে যে এটি করোনা সংক্রমণ। আর গলা চুলকানি, হালকা আরষ্ঠ ভাব, হাতে পায়ে ফেঁটে যাওয়া, চুলকানো অনুভব, রাত বিরেতে প্রচন্ড ঘাম হলেই বুঝতে হবে সেটি ওমিক্রন তারপরে টেস্ট করানো যদিও বাধ্যতামূলক। এরপরে কিন্তু আপনার শিশুদের সুস্থ রাখতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম মানতেই হবে!
- কম করে ১০ দিনের জন্য আপনার বাচ্চার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। এবং আইশলেশনে রাখতে হবে। তবে উপসর্গ হালকা কিংবা না থাকলেও কিছু ইঙ্গিত আপনি পাবেনই সেই মুহূর্তেই নিজেকে আবদ্ধ করুন। এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াবেন না। সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের তরফ থেকে ১০ দিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- যতই আপনি বাড়ি তে আলাদা থাকুন, তার পরেও সবসময় মাস্ক পরে থাকতে হবে। এটি কিন্তু স্পর্শকাতর হতে পারে। সুতরাং এই বিষয়ে সাবধান! নিজের সঙ্গে সঙ্গে আপনার শিশুটিকেও মাস্ক পরে থাকতে পরামর্শ দিন।
- যদি আপনার সংক্রমিত থাকাকালীন আপনার বাচ্চা ভ্যাকসিন গ্রহণ করে, সেইসময় ওর থেকে দূরে থাকাই ভাল। কারণ একবার অ্যান্টিবডি প্রাপ্ত শরীর ভাইরাসের সংস্পর্শে এলেই মুশকিল। তার কার্যকারিতা কমে যাবে। নজর রাখতে হবে।
- প্রতিনিয়ত নিজের শরীরকে মনিটর করা প্রয়োজন। কারণ এই রোগের উপসর্গ এবং লক্ষণ মাঝে মধ্যেই ওঠানামা করে, বেশি খারাপ হতে শুরু করলেই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
- নিজের জলের বোতল এবং জায়গা যেটি ব্যবহার করছেন সেটি প্লাস্টিক জাতীয় বোতল নয়, ওয়াটার প্যাক ব্যবহার করুন। তবে পুনরায় ব্যবহারের ঝুঁকি থাকবে না। আর আপনার শিশুকে এর থেকে বাঁচাতে পারবেন।
- এইসময় বেশিমাত্রায় ফোন ঘাটা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই, তাই বলে রোগের খবর নয়, মন ভাল করা খবর বেশিই দেখুন।
- বাচ্চাটিকে দেখার জন্য, এমন কাউকে আমন্ত্রণ জানান যে আপনার ভরসার পাত্র এবং আপনি তাকে বিশ্বাস করেন।
- মানসিক ভাবে দুর থেকেই সন্তানের পাশে থাকুন। ওকে বুঝতে দেবেন না যে আপনি ঘোরতর অসুস্থ! দরকার পড়লে ভিডিও কলে কথা বলুন, নিজের সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাও ভাল থাকবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন