ওমিক্রন ডেল্টা এবং করোনা ভাইরাস, সবমিলিয়ে যেন ভাইরাসের ছোবল। সারা রাজ্যের অবস্থা সঙ্কটজনক। আজকের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৪,০০০ পার আক্রান্তের সংখ্যা। বেশিরভাগের মধ্যেই সংক্রমণের মৃদু উপসর্গ এবং সেই চাপানোত্তর বিষয় থেকেই বাড়ছে ঝুঁকি। বেশিরভাগ মানুষ নিজের শরীর দিয়ে বুঝতেই পারছেন না আদৌ তিনি আক্রান্ত নাকি নন। এতেই রয়েছে সমস্যা!
এমনিতেও চিকিৎসকরা আশঙ্কা এমনই করেছিলেন যে ক্রমাগত এই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। এর মিউটেশন এতই বেশি, যে উপসর্গ কম থাকলেও একসঙ্গে অনেক মানুষ আক্রান্ত হবেন। এবং সেটিই রোগের পরিভাষায় মারাত্মক। লক্ষণ বুঝে উঠবার আগেই মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। তাই সংকোচ কিন্তু থাকছেই। একেতেই একে কন্ট্রোল করা সম্ভব নয় এবং তার সঙ্গেই মানুষের অসচেতনতা ক্রমশই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
মৃদু উপসর্গ থেকে কীভাবে সংক্রমণ সম্ভব?
মৃদু উপসর্গের অর্থ যাদের শরীরে একেবারেই ভাইরাসের প্রভাবের লেশ মাত্র নেই তারা যখন আড়ালেই আক্রান্ত হন। এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বেশিরভাগ সময় এটাই লক্ষ্যণীয় মৃদু উপসর্গের ব্যক্তিরা যারা প্রথম থেকেই করোনা আক্রান্ত, তাদের শরীরেও প্রচন্ড ভাবে এটির সঞ্চার করছে, এবং দ্বিতীয় যারা আক্রান্ত নন তাদের ক্ষেত্রে তো বটেই। এবং উপসর্গহীন যারা তাদের মধ্যে কিন্তু রোগ ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। সেই কারণেই বারবার যারা মৃদু উপসর্গের ব্যক্তি তাদেরকে আঁচ পেতেই লোকের থেকে দূরে থাকার, আলাদা থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কী পরামর্শ মিলছে?
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতের বেশিরভাগ মানুষই মৃদু উপসর্গ যুক্ত। তবে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তার মধ্যে ঘরের অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪% রাখা উচিত এবং নিজের শারীরিক পালস রেট আয়ত্বে রাখতে হবে। যেহেতু নাক দিয়ে জল পড়া, কিংবা সর্দি কাশি এগুলো থাকছেই তাই নিজের শরীরকে সঠিক রাখতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে কম করে ৩০ শতাংশের বেশি মানুষই মৃদু উপসর্গের আওতায়। তাই এই বিষয়টিকে বেশি ধ্যান দেওয়া জরুরি। যে শরীরে উপসর্গ কম হবে সেই শরীর থেকেই ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। এমনকি গোষ্ঠী সংক্রমণ হতে পারে আবার নাও পারে। তাই একটু সচেতন হন, নিজের সঙ্গে সঙ্গেই বাকিদের খেয়াল রাখুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন