Advertisment

ওজন বাড়াতে চান? সমস্যা নেই! একেবারেই সম্ভব - তবে কীভাবে?

ওজন বাড়ানোর প্রাক্কালে গবেষণা অবশ্যই প্রয়োজন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

ওজন কমানো নিয়ে মানুষের সমস্যার শেষ নেই। হাজার হাজার ডায়েট প্ল্যান কিংবা খাবার কেটে ছেঁটে ফেলে দেওয়ার পরেও যেন মানুষের নিজের পছন্দের ওজন পৌঁছানোর রাস্তা বেশ কঠিন। তবে এমনও বেশ কিছু মানুষ আছেন যারা ওজন বাড়ানোর চেষ্টায় দিনরাত মগ্ন। নানা রকম সাপ্লিমেন্ট খেতে খেতেও যেন উপায় সম্ভব হচ্ছে না। 

Advertisment

অনেকেই এমন আছেন যারা মনে করেন অতিরিক্ত বেশি খাবার খেলেই কেল্লাফতে! অর্থাৎ অতিরিক্ত প্রোটিন কিংবা স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কার্ব গ্রহণ করলেই অর্ধেক সমস্যার সমাধান! তবে এই তথ্য একেবারেই ভুল কারণ ওজন কমানোর পেছনে যেমন অনেক গবেষণা কিংবা তথ্য প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনই ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিষয়ে জানা প্রয়োজন। 

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক আলকা বিজয়ন বলছেন, ওজন বাড়ানোর পেছনে খাবার দাবার যেমন জরুরি তেমনই তার জীবনযাত্রার প্রতিটা ধাপ একইভাবে গ্রহণযোগ্য। অর্থাৎ অভ্যাস থেকে রাত্রিবেলা ঘুমাতে যাওয়ার প্রতিটি সময় দরকারি। আদৌ সেই ব্যক্তি মানসিক ভাবে কতটা সতস্ফুর্ত নাকি সে অশান্তি কিংবা চাপের অধিকারী সেই বিষয়েও জানা প্রয়োজন। তবে আরও বেশকিছু বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই জানা প্রয়োজন! আর তার উত্তরের ওপর ভিত্তি করে ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা সম্ভব। সেগুলি কী কী...? 

চিকিৎসক আলকার বক্তব্য তিনটি প্রশ্নের উত্তর আপনাকে খুঁজে বের করতেই হবে। যেগুলি এই ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন :-

প্রথম, আপনার খিদে কেমন পায় অথবা ঠিক কতটা পরিমাণে আপনি একবারে বসে খেতে পারেন?

উত্তর যদি ভাল হয় তবে অবশ্যই আপনি বেশ কিছু ডায়েট চার্ট কিংবা প্ল্যানের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। আর যদি না হয় তবে খাবার খাওয়ার বিষয়টিকে আগে ঠিক করুন। ভালভাবে পুষ্টিকর খাবার না খেলে খুব সমস্যা। 

দ্বিতীয়, হরমোন ইমব্যালেন্স এর কোনও পূর্ব অথবা বর্তমান সমস্যা? 

উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে অবশ্যই এটিকে আয়ত্বে আনার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে থাইরয়েড এবং গাইনো জাতীয় সমস্যা। নয়তো বা ওজন বাড়ানোর চিন্তা করাও উচিত নয়। 

তৃতীয়, জেনেটিক গত দিকেও নজর রাখা খুব দরকার! আপনার বাবা মায়ের চেহারা কিংবা গঠন কী রোগার দিকে? 

উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে একেবারেই কোনওভাবে এটি সম্ভব হয়। কারণ জেনেটিক মডিফিকেশন করা এত সহজ নয় এবং এটি করাও যায় না। যদি না হয় তবে চেষ্টা করলে অবশ্যই সম্ভব। তাই পারিবারিক বিষয়টিকে অবশ্যই মাথায় রাখবেন। 

তবে এগুলি ছাড়াও দৈহিক যে বৈশিষ্টের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন ;

জন্মগত ভাবে যদি দৈহিক প্রকৃতি ভাতা দশা যুক্ত হয় তবে ওজন বাড়ানো বেশ কঠিন কাজ অর্থাৎ যদি শরীরের দশায় বায়ুযোগ বেশি থাকে তবে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

অত্যন্ত বেশি ভাবনার অধিকারী মানুষরা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে এটি সমস্যার হতে পারে।

health true facts weight gain
Advertisment