দাঁত নিয়ে কারসাজি অনেকেই করেন। কারওর আক্কেল দাঁত তো কারওর ভাঙ্গা চোরা এবড়ো খেবড়ো, কারওর আবার গজ দাঁত। কারওর দাঁত নড়বড়ে। কারওর সেটিংয়ে সমস্যা। কিন্তু দাঁত আসলেই মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এবং দাঁত কিন্তু সুন্দর হাসির লক্ষণ। তবে দাঁতের সঙ্গে অনিয়ম করলে কিন্তু খারাপ হবেই।
মাঝেমধ্যেই দাঁতের যত্ন সাপেক্ষে চিকিৎসকের কাছে যান? আদৌ সমস্যার কথা তাদের সঙ্গে শেয়ার করেন? একটা কথা মাথায় রাখতে পারেন, দাঁত মানে কিন্তু শুধুই দাঁত মাজা কিংবা প্লাক্স ব্যাবহার করা নয়। তার সঙ্গে দাঁতের কিন্তু অন্যভাবে যত্ন নিতে হবে। দাঁত শক্ত হতে হবে, এবং তার সঙ্গে সুন্দরও হতে হবে। আর তার সঙ্গেই এই বদ অভ্যাস গুলি একেবারেই ছেড়ে ফেলতে হবে। নাহলে দাঁত কিন্তু একেবারেই সমস্যায় পড়বে। যেগুলি একেবারেই করবেন না ;
দাঁত দিয়ে কোনও কিছু ভাঙ্গা চোরা করবেন না। প্যাকেট হোক কিংবা বোতলের ঢাকনা অথবা যেকোনও শক্ত জিনিস, একেবারেই দাঁত দিয়ে ভাঙাচোরা করবেননা কিছুই। এতে দাঁতের গঠন যেমন ভাঙতে থাকে তেমনই দাঁতের মিনারেলস এর পরিমাণ কমতে থাকে।
দাঁত দিয়ে নখ কাটবেন না। এটি বড্ড খারাপ অভ্যাস। নখের এনামেল কিন্তু দাঁতের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। সেই থেকেই দাঁতের সমস্যা হতে পারে। তার সঙ্গেও নখের মধ্যে থাকা ময়লা- দাঁত এবং মুখের নানা ক্ষতি করতে পারে।
দাঁত কিড়মিড় করা কিন্তু দাঁতের পক্ষে খুব খারাপ। এতে দাঁতের ভঙ্গুর ভাব বাড়তে থাকে। এবং এত সহজেই ক্ষয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি করা কিন্তু একেবারেই চলবে না। যদিও মন অগোছালো থাকলে এরকম করা স্বাভাবিক তারপরেও এটি হতে পারে। কিন্তু নিজের ওপর কন্ট্রোল রাখুন।
জোড়ে জোড়ে ব্রাশ দিয়ে দাঁত ঘষবেন না। কারণ এতে দাঁত ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং দাঁতের মসৃণতা কমে যায়। দাঁতের লালারস এবং গাম দুটোই হ্রাস পায়। ফলেই ব্রাশ দিয়ে আলতো ভাবেই দাঁত মাজুন।
এছাড়াও প্রতিদিন আঙ্গুল দিয়ে অন্তত একবার দাঁত ঘষা বাঞ্ছনীয়। শীতকালে কমলালেবুর খোসা এবং গরমে পেয়ারা পাতা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা উচিত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন