লকডাউন সারা দেশকে কার্যত ঘরবন্দি করেছে। রাতারাতি কচিকাঁচাদের খেলা বন্ধ, চার দেওয়ালে বন্দি জীবন। এই অবস্থায় মুঠোফোন অথবা ল্যাপটপেই কাটছে শৈশব। কিন্তু শুধু কি সেটুকুই! অনলাইন দুনিয়ায় অগাধ ছাড় পাওয়া খুদেরা ঘনঘন শিকার হচ্ছে যৌন হেনস্থার। আপনার সন্তানকে সে সব ফাঁদ থেকে বাঁচাতে যথেষ্ট সাবধানতা নিয়েছেন তো আপনি?
অনলাইন অপরাধের সবচেয়ে সহজ শিকার হয়ে আসছে শিশুরা। তৃতীয় বিশ্বের দেশে বেশি করে। লকডাউন কাল যেন রাতারাতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলেছে সেই আশঙ্কা। ইচ্ছে করলেও বাইরে বেরনো বন্ধ, অগত্যা অনলাইনেই চলছে দস্যিগুলোর নিত্য যাতায়াত। দীর্ঘ সময় লকডাউনের ফলে একাধিক স্কুলে চালু হয়েছে ই-ক্লাস। অতএব মোবাইল, ল্যাপটপ আপনাকে দিতেই হবে আপনার সন্তানকে। অনলাইনের দুনিয়ায় কোথায় কোন ফাঁদ পাতা রয়েছে, আমি-আপনি তার খবর রাখিনা। তাই খুব সহজেই অপরাধ জগতের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে কচিকাঁচারা।
আরও পড়ুন, নিজের পরিবারেই আপনার সন্তান লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে না তো?
সম্প্রতি ইউরোপোল সংস্থার এক সমীক্ষা বলছে, সারা বিশ্ব জুড়েই শিশুদেরকে যে অবৈধ ভাবে যৌন ব্যবসা এবং অপরাধমূলক কাজে লাগানো হচ্ছে, তার আঁতুড়ঘর হল ইন্টারনেট। এই প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশনের কলকাতা শাখার ডিরেক্টর সাজি ফিলিপ বলেছেন, "যৌন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকা অসাধু সংগঠনগুলো চাইবে করোনার সময়টা কাজে লাগাতে"। তিনি আরও বলেছেন অভিভাবকেরা, সেক্সটিং, গ্রুমিং, সেক্সটরশন সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা তৈরি করে সচেতন থাকুন। তাহলে আপনার সন্তানের ওই উপায়ে নিগৃহীত হওয়ার সম্ভাবনাটা অনেকটাই কমবে।
অভিভাবকেরা যে বিষয়গুলি অবশ্যই করবেন
সন্তানরা অনলাইনে কী করছে, সেদিকে খেয়াল রাখুন
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করবেন
আপনার সন্তানকে অনাকাঙ্ক্ষিত কেউ উত্যক্ত করলে ব্লক করুন, দরকারে পুলিশকে খবর দিন
সন্তানের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলুন, ওর অনলাইন আগ্রহের জায়গাটি চিহ্নিত করে বোঝার চেষ্টা করুন কী করছে সে