বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর তাঁর মধ্যে ইলিশ পার্বণের উল্লেখ না হলেই হয়। বর্ষা মানেই ইলিশ ছাড়া রান্নাঘর জমবে না। তাঁর সাবেকি আইটেম এবং স্বাদে আহ্লাদে ইলিশের তুলনা একেবারেই হয় না। আর শহর কলকাতায় ইলিশ উৎসবের আয়োজন হলে সে তো আলাদাই ব্যাপার।

ইলিশ উৎসবের শুরুর দিন থেকেই দর্শক উত্তেজনা তুঙ্গে। খাবারের প্রতি বাঙালির আকর্ষণ আর বিশেষ করে ইলিশের প্রতি যেন প্রশ্নই ওঠে না। জুলাই মাসের ২৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ উৎসব। প্রথম দিনেই উপস্থিত ছিলেন, বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ইলিশ বাড়িতে আসা মানেই রান্নাঘরে অঢেল খুশি। আর ইলিশের এই ঘর ওয়াপসি নিয়েই ‘ইলিশ উৎসব’। সবথেকে শ্রেষ্ঠ ইলিশের খোঁজ পেতে ইলিশ উৎসবে ঢু মারতেই হবে।

বাবু কালচারের তরফেই আয়োজন করা হয়েছে এই মহোৎসবের। বাবু কালচারের সদস্য এবং কর্ণধার মৃদুলা মজুমদার বলছেন, “ইলিশ আমাদের নামের সঙ্গে জড়িয়ে। আমাদের এই উৎসবে ইলিশের চিরাচরিত কিছু রেসিপি রয়েছে। সঙ্গে বিশেষ কিছু রেসিপিও রয়েছে। মানুষ ভীষণ আনন্দের সঙ্গে নতুন রেসিপি গুলি ট্রাই করছেন, ভাল লাগছে। আমরা বাঙালিরা ইলিশ ছাড়া অসম্পূর্ণ। আর এইসময় ইলিশের স্বাদ ও নজরকাড়া। সর্ষে ইলিশ, ইলিশ ফিঙ্গার তো বটেই সঙ্গে নতুন রেসিপির মধ্যে ইলিশের ডিম রোস্ট কিংবা মরিচ বাটা ইলিশ অতিথিদের ভাল লাগছে”।

ইলিশের সঙ্গে রিসার্চ একেবারেই যায় না। বরং ইলিশ সাবেকি ভাবেই খাদ্যরসিক বাঙালিকে আকৃষ্ট ওপর তোলে। ইলিশের মাথা থেকে ল্যাজা এইসময় তার স্বাদ, যেন অমৃত। ভোজন রসিকদের ইলিশের প্রতি আকর্ষণ থাকবে না এ হবার নয়। ইলিশ মানেই বাঙালির আবেগ, তাই একবার হলেও ঘুরে আসতেই পারেন।