দামী গিফট, ঝাঁ চকচকে রেঁস্তোরায় লাঞ্চ, এসবের বাইরেও সম্পর্কে বেশকিছু ছোটছোট দিক থাকে, বড় দিকগুলোকে নিয়ে অতিরিক্ত ভাবতে গিয়ে আমরা প্রায়ই এড়িয়ে যাই সেই দিকগুলো। এরপর তো কাজের চাপ, ব্যস্ততা আছেই।
সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করছেন, ঘুরছেন, সময় কাটাচ্ছেন, কিন্তু মন খুলে কথা বলা হয়ে উঠছে কি? সমস্ত সম্পর্কের জন্য সবচেয়ে জরুরি হল কমিউনিকেশন। আর কমিউনিকেশনের অন্যতম মাধ্যম কথা বলা। জমে থাকা না বলা কথাগুলো এবার শেয়ার করুন।
আজ থেকেই খেয়াল করুন এই দিকগুলো
প্রতি মিনিটে ফোন বা মেসেজে কথা হতে হবে এমন কোনও মানে নেই। সারাদিনের মধ্যে কিছুটা সময়ই যথেষ্ট। মেসেজ নয়, ফোন করে জিজ্ঞাসা করুন তাঁর দিন কেমন গেল! খোঁজ নিন কোনও সমস্যা হয়েছিল কীনা? পাশাপাশি বলুন নিজের সারাদিনের কথাও ।
ছোট ছোট বেশ কিছু ট্রিক ব্য়বহার করতে পারেন। যেমন, লাঞ্চ টাইমে ওঁর লাঞ্চবক্সটা পাঠিয়ে দিন অফিসে, সঙ্গে একটা ছোট নোট। কিংবা তুমুল ঝগড়ার পর পাশে বসেই মেসেজে একটা সরি লিখে পাঠিয়ে দিন। সাহায্যের হাত বাড়ান ছোট ছোট কাজে।
মাঝে মাঝেই জানিয়ে দিন আপনার সঙ্গী আপনার কাছে কতটা স্পেশাল।
সম্পর্কের বাঁধন তৈরি করতে অন্যতম জরুরি বিষয় হল ছোট ছোট ভাল লাগার মুহূর্ত তৈরি। গুলো থাকা খুব জরুরি। সবসময় মস্তিষ্ক দিয়ে বিচার না করে ইমোশন দিয়েও ভাবতে পারেন কিছু ক্ষেত্রে। দেখবেন কেমন সুন্দরভাবে এগিয়ে চলেছে আপনার সম্পর্ক।
আরও পড়ুন: মা হওয়ার পর হতাশায় ভোগেন প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলা, জেনে নিন কীভাবে রেহাই পাবেন!
চমৎকার সম্পর্ক চান? একজন ভাল শ্রোতা হয়ে উঠুন। আপনার সামনের মানুষটি ঠিক কী বলতে চাইছে কা শুনুন। আপনার নিজের মত বা যুক্তি চাপিয়ে দেবেন না। আপনার সঙ্গীর মতামতকে যদি গুরুত্ব দেন, তাহলেই আপনার কথাও তাঁর কাছে গুরুত্ব পাবে।
মনে এক আর মুখে এক হলে সম্পর্কের জটিলতা বাড়ে। আপনার মনের কথা আপনার সঙ্গীর বোঝা দরকার। ফলে মনের কথা ব্যক্ত করুন। মাঝে মধ্যে সারপ্রাইজ ভিজিট দিয়ে চমকে দিন। যখন দূর থেকে হঠাৎই আপনার সঙ্গীকে মিস করছেন, ফোন করুন বা মেসেজ করুন, জানান আপনার মিস করার কথা।
এরকম কয়েকটি বিষয় একটু নজর করে চললে শুধু নিজেদের মধ্যে কমিউনিকেশনই বাড়বে না, সম্পর্ক জোরালোও হবে।
আরও পড়ুন: অতীত ভুলতে নিজেই হয়ে উঠুন আপনার মনের ডাক্তার