লকডাউনে মনে পড়ুক দিদিমা, ঠাকুমাদের, ফ্রিজ ছাড়াই কীভাবে টাটকা থাকত রান্না?

পাঁপড় কিমবা বড়ি তো রোদে শুকিয়েই তৈরি হয়। উঠোনে মা দিদিমার শাড়ি পেতে তাতে বড়ি শুকোতে দেওয়া ভুলেই গেছি আমরা।

পাঁপড় কিমবা বড়ি তো রোদে শুকিয়েই তৈরি হয়। উঠোনে মা দিদিমার শাড়ি পেতে তাতে বড়ি শুকোতে দেওয়া ভুলেই গেছি আমরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দেশে টানা পাঁচ সপ্তাহের লকডাউন চলছে। বাজার খুলছে অল্প অল্প। সরকার বাড়ির বাইরে না বেরোনোর নির্দেশ দিয়েছে। এই অবস্থায় দু'বেলা খেতে তো হবে, নাকি? অথচ রান্না করা মানেই হেঁশেলে সবজি, আনাজ ফুরিয়ে আসা। এই অবস্থায় কী এমন রান্না করে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত নষ্ট হবে না খাবার?

Advertisment
আগেকার দিনে ফ্রিজ কোথায় ছিল? ঠাকুমা দিদিমারা কি আর রান্না করে রাখতেন না? শহুরে মানুষ অবশ্য সে সব পদ্ধতি ভুলেই গিয়েছে। এ দেশে কতবার প্লেগ হয়েছে। তাই এখনকার মতো পরিস্থিতি এ দেশ যে একেবারেই দেখেনি, তা নয়। খাবার গচ্ছিত রাখার প্রবণতা সিন্ধি সম্প্রদায়ের মধ্যেও রয়েছে। এঁরা গরম কালে খাবার সংগ্রহ করে জমিয়ে রাখে শীতের জন্য।
সূর্যের আলোয় শুকিয়ে নেওয়া
খাবার প্রিসার্ভ করে রাখার জন্য ড্রাই হিট খুব উপকারী। পাঁপড় কিমবা বড়ি তো রোদে শুকিয়েই তৈরি হয়। উঠোনে মা দিদিমার শাড়ি পেতে তাতে বড়ি শুকোতে দেওয়া ভুলেই গেছি আমরা।
এখন যেমন সারা বছর সব কিছুই পাওয়া যায় বাজারে, আগে তা ছিল না, তাই রোদে শুকিয়ে নিলে সে সব খাবার অনেকদিন থাকত।

Advertisment

পর্তুগীজরা যখন এ দেশে এল, সঙ্গে নিয়ে এল ভিনিগার। পারসিরা আবার আচার বানিয়ে টাটকা রাখার চেস্টা করত রান্না। যেমন ইলিশ মাছ। এখনও আমরা আম আর লেবুর আচার বানিয়ে রেখে সারা বছর খাই, তাই না?

সফরকালীন রান্না

এ দেশের মানুষ ঘুরতে ভালোবাসে। ঘোরার সময় রান্না করার চল রয়েছে শুকনো খাবারের। কেন শুকনো? যাতে সফর কালে এক চিলতেও জল না চলকে পড়ে। রুটি একটু ঘিয়ে ভেজে নিয়ে মুরগির মাংস পেয়াজ , আলু ক্যাপসিকাম দিয়ে ভেজে নিয়ে গেলেই হল।

Axone, Akhuni, Indian Express, Indian Express news

coronavirus