মেনস্ট্রুয়েশন অথবা ঋতুস্রাব মেয়েদের জীবনে খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। বলা উচিত শরীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি না হলেও সমস্যা আবার বেশি হলেও সমস্যা। তবে অতীত ঘাঁটলে দেখা যাবে এই সময় আগেকার যুগের মহিলারা একেবারেই অন্তরালে থাকতেন কিংবা দৌড়াদৌড়ি করতেন না, শান্ত থাকতেন। তবে বদল ঘটেছে, পাল্টেছে সময় - বেশ কিছু পরিবর্তনে দেখা গেছে এখন বেশিরভাগ নারীই খুব স্বাভাবিক আচরণ করেন। তবে ভাগ রয়েছে - একদল যতই অস্বস্তি বোধ করুক, নিজেদের প্রতিদিনের ব্যায়াম তারা করবেই আবার অনেকেই আছে যারা শুধুই যন্ত্রণা অনুভব করেন, হাত পা নাড়াতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তবে আদৌ এই সময় শরীরচর্চা কিংবা ব্যায়াম করা যায়?
প্রসঙ্গেই ধারণা দিয়েছেন চিকিৎসক লীনা এন শ্রীধর ( স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, গবেষক, বিভাগীয় প্রধান HCMCT হসপিটাল )। তিনি বলেন এই সময় বাঁধা ধরা বলে কিছুই নেই! আপনি চাইলে সবকিছু করতে পারেন এমনকি ব্যায়ামও। তবে খুব কঠিন কিছু নয়, হালকা এবং শরীরের ক্ষতি করবে না এমন কিছু অবশ্যই করতে পারেন। সেগুলির মধ্যে
হাঁটা এবং দৌড়ানো: এই অভ্যাসটি সকলের থাকা উচিত। অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন। এতে হৃদরোগ, প্রেসার এবং সুগারের সমস্যা দূর হতে পারে। যদি ঋতুস্রাবের মাত্রা বেশি হয়, তবে একটু ভাবনা চিন্তা করা উচিত, এবং হাঁটা তাদের পক্ষে ভাল প্রমাণিত হতে পারে। এইসময় ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন এর মাত্রা সমস্যা সৃষ্টি করে, আপনাকে অলস করে তুলতে পারে। এবং হালকা জগিং করতে পারেন। এতে শরীরের প্রদাহ কমতে পারেন।
যোগা: এই সময় স্ট্রেস সাংঘাতিক থাকে। তাই মুড সুইং সহজেই হতে পারে। যোগা খুব ভাল বিষয়। এটি শরীরকে ভারমুক্ত রাখে এবং তার সঙ্গেই মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন অভ্যাস করলে চিন্তা, রাগ এবং ডিপ্রেশন সব কমতে থাকে। তিনি বলেন পরবর্তীতে রিলাক্সে থাকতে গেলে যোগা করা খুব ভাল।
নাচ গান: গান কিন্তু বেজায় মন ভাল করতে পারে। নাচ কিন্তু আপনার অন্যতম পছন্দ হতে পারে। সে আপনি জুম্বা ক্লাসে যান, কিংবা বল ক্লাস। এতে আপনার ফ্লেক্সিবল ভাব বাড়তে থাকে। আপনার মেজাজ ভাল হতে থাকে এবং ক্যালরি কমতে থাকে। অ্যারোবিক কিংবা যুম্বা ক্লাস থেকে ব্যথা এবং ভারী ভাব কমে থাকে।
স্ট্রেচিং: যদি কোনওরকম শরীরে অসুবিধে হতে থাকে তখন স্ট্রেচ, কিংবা টুইস্ট করতে পারেন। প্রাণায়াম করতে পারেন। অনুলোম বিলোম করতে পারেন। পেশিগুলিকে সতন্ত্র করতে শিখুন। নিজের শরীরের আরষ্ঠ ভাব কমাতে হবে। কোবরা স্ট্রেচ, ট্রাঙ্ক রটেশন, হাঁটু স্ট্রেচ - এগুলি ট্রাই করতে পারেন। এইসময় বসে না থেকে বরং নিজেকে শারীরিক ভেবে চালনা করতে শিখুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন