ঠিক শীত এবং শরৎ এর এই মধ্যাহ্নের সময় কিন্তু শরীরের পক্ষে ভীষণ খারাপ। যেমন ঠান্ডা লাগার ধাত তেমনই বেশ কিছু খারাপ রোগের সূত্রপাত তেমনই জমা জলে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া আর এখন তো করোনা মহামারীর প্রকোপ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। সবদিকেই শরীরে আঘাত হানার জন্য কিছু না কিছু বর্তমান রয়েছেই।
বিশেষ করে এই উৎসবের মরশুমে কিন্তু অনিয়ম প্রচন্ড করা হয়। রাত করে বাড়ি ফেরা থেকে ঠান্ডার ঠিক মুখেই চোরা ঠান্ডা কখন লেগে যাবে বোঝা বড়ই মুশকিল। সেই কারণেই বেশ কিছু ভাবে কিন্তু শরীর খারাপ হতেই পারে। আর এখন ছোটখাটো কোনও রোগ মানেই সেই থেকে মহামারীর ঘেরাটোপে আপনার প্রবেশ। তাই অন্তত এই সময় দাড়িয়ে একটু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
অক্টোবরের শেষ, এবং মোটামুটি এই সময় থেকেই তাপমাত্রা কমতে থাকে এবং বাড়তে থাকে পোশাকের পরিমাণ। ধীরে ধীরে গরম জামা থেকে ব্ল্যানকেট সবকিছুই আসবে তবে শুরুর সময় একটু খেয়াল রাখতে হবেই নইলে সর্দি, হাঁচি আর শুকনো কাশির সঙ্গে নাক বন্ধ, মাথা যন্ত্রণা এগুলি খুবই কমন রোগ।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, নিজেকেই করতে হবে নিজের দেখভাল এবং সেই কারণেই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন ;
• এইসময়ে দাঁড়িয়ে অবশ্যই হাত ধুতে হবে এবং বাইরে থেকে এসে হাত পা যেমন ধুতে হবে তেমনই ডেটল কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহার আবশ্যিক। সাধারণ ফ্লু কিন্তু সংস্পর্শ থেকে ছড়াতে পারে।
• বেশ কিছু সাপ্লিমেন্টস যেমন ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন সি এগুলি অবশ্যই খেতে হবে।প্রতিদিন কুচি করা কাচা হলুদ এবং ইমিউনিটি বাড়াতে হলুদ গোলমরিচ জল সপ্তাহে তিনদিন খেতেই হবে। এককথায় ইমিউনিটি বাড়িয়ে তুলতে হবে।
• প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি এবং ফল খাওয়া অভ্যাস করতে হবে। ডাল জাতীয় শস্য এবং সঠিক পরিমাণে প্রোটিন অর্থাৎ মাংস এবং ডিম এগুলো মাস্ট।
• শরীরচর্চা করতেই হবে। কারণ শরীর চালনা না করলে কিন্তু বেজায় মুশকিল। অন্তত সকালে হাঁটতে যাওয়া অথবা প্রাণায়াম, যোগা এগুলি কিন্তু শারীরিক ভাইরাল ইনফেকশন কমাতে পারে।
• রোগ হলে মন খারাপ করে একেবারেই বসে থাকবেন না। প্রপার আনন্দ বজায় রাখুন, ঠিক করে খাওয়াদাওয়া করুন। জীবনে খুশি নিয়ে আসুন। কারণ মন কিন্তু নিদারুণভাবে শরীরের সঙ্গে যুক্ত।
• ঠান্ডার আঁচ পেলেই জল গরম করে তাতে অল্প ভিক্স কিংবা লবঙ্গ তেল ফেলে ভেপর নিন।
নিজেকে শীতের শুরুয়াত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে এগুলো কিন্তু মানতেই হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন