একগুচ্ছ পার্বণের মরশুম চারিদিকে। তার সঙ্গে নিয়মিত করে রাশিকৃত খাওয়াদাওয়া। এবং পাল্লা দিয়ে তার সঙ্গে পেটের গন্ডগোল আর অনিয়ম তো রইল। আর যাই হোক না কেন পুজো-পার্বণে একেবারেই ব্যায়াম অথবা জিম এগুলি মাথায় থাকে না। উৎসব আনন্দের মাঝে কেবলমাত্র হাসি খুশি এবং জমিয়ে মজা করার সময় খুঁজে পাওয়া যায়।
কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়াদাওয়া কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে আপত্তিকর শারীরিক অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন উৎসব মানেই মিষ্টি, ভাজাভুজি এবং এগুলি কিন্তু বেশি মাত্রায় শরীর খারাপ করার আসল কারণ। পেটের চর্বি যেমন বাড়তে থাকে তেমনই বমি বমি ভাব, পেট খারাপ এগুলি খুব সাধারণ বিষয়। সেই কারণেই খাওয়াদাওয়ার দিকেও অবশ্যই লাগাম দেওয়া উচিত। একনাগাড়ে অনিয়ম করলে বিপদে পড়তে তো হবেই! তাহলে উপায়?
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা. নিতিকা কোহলি এই প্রেক্ষিতেই বেশ কিছু টিপস উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, উৎসবের সঙ্গে সবথেকে বেশি জড়িত হল খানাপিনা। কিন্তু লাগাম তো দিতেই হবে, নইলে শরীর যে কোনও গল্প শুনতে নারাজ। তাই বেশ কিছু টিপসের পরামর্শ দেন, সেগুলি কী কী?
• মন খারাপে অনেকেই শুধু খাবারের কথা চিন্তা করেন। তাদের মানসিক শান্তি এটাতেই যে, শরীর মকন দুটোই খেলেই নাকি ভাল হয়ে যাবে। এই বিষয়টি কিন্তু খুব খারাপ। কারণ, যত ভাববেন ততই খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হবে। তাই মন খারাপ থাকলে আমল দেওয়া চলবে না।
• সকালের জলখাবার একেবারেই পেট ভরে খান। ঐটি একেবারেই মিস করবেন না। পুষ্টিযুক্ত খাবার খেলে অবশ্যই পরের দিকে মিষ্টি কিংবা ভাজাভুজি খাওয়ার চিন্তা আসবে না।
• সময় বেঁধে নিয়ে তার মধ্যেই খাবার খাওয়া অভ্যাস করতে হবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের ব্যতীত খাবার খাওয়া চলবে না এবং পেট ভরে খেতে হবে যাতে সহজেই খিদে না পায়।
• তিনি বলেন, সঙ্গে একটি ফুড জার্নাল রাখতে পারেন। কতটা সুবিধা হবে জানা নেই তবে একটা গাইডেন্স এর থেকে পেতেই পারেন। তার সঙ্গে দিনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন কোন সময় খাবারের চাহিদা আপনার মধ্যে চাগাড় দিচ্ছে সেই দিকেও বুঝতে পারবেন।
• ডায়েট অবশ্যই করবেন তবে তার মধ্যেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনুন, কারণ অত্যধিক নিয়মের মধ্যে খাওয়াদাওয়া করলে সেটি আপনার মন মেজাজ কে শান্তি দেবে না। তাই মন ভাল রেখেই ডায়েট করুন।
মোটামুটি এইগুলো মেনে চললেই কিন্তু একটু হলেও তফাৎ অনুভব করবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন