প্রেগনেন্সি শব্দটা মানেই ব্লেসিং এবং তার সঙ্গেই একরাশ খুশি। নতুন অতিথি আসছে বলে কথা এবং তার প্রতিদিনের বেড়ে ওঠার সাক্ষী থাকেন সকলেই। অনেকেই বলেন এইসময় যেমন ভীষণ সাবধানে থাকা উচিত, কোনও রকম ভারী কাজ একেবারেই উচিত নয় তেমনই বেশিরভাগ মানুষ বলেন, শরীর চালনা না করলে নাকি কষ্ট দিনদিন বারে। সাবধানে থাকবেন অবশ্যই! কিন্তু তার সঙ্গে প্রতিদিনের হাঁটাচলা কিংবা ব্যায়াম করা কিন্তু আপনার বাচ্চার জন্যও বেশ ভাল।
প্রেগনেন্সি অবস্থায় হাঁটাচলা করা, অল্প আধটু ব্যায়াম করার বিষয়টি কিন্তু একেবারেই ক্ষতিকর নয় শুধু আপনাকে জানতে হবে কোনটি এর ক্ষেত্রে সঠিক। সময় কমিয়ে দিন সারাদিনে ১৫ মিনিট হলেই যথেষ্ট। তবে একেবারেই বসে যাবেন না। আপনার গর্ভাবস্থার সময় এবং দিন হিসেবে তবেই শরীরচর্চার বিষয়টি ভাববেন। এবং চেষ্টা করবেন বেশি যেন না হয়। তবে এর কিন্তু নিদারুণ একটি উপায়, প্রাণায়াম সেটি কিন্তু করতেই পারেন। তাহলে জেনে নিই কোন কোন ব্যায়ামগুলো আপনাদের জন্য দরকারি?
নিলিং পুশআপ : ম্যাটের উপর হাঁটু ভাঁজ করে রাখুন।
পা উপরের দিকে ৪৫° অ্যাঙ্গেলে রাখুন।
এবার শরীরের সামনের অংশ নিচের দিকে নিয়ে জন এবং ফের উপরের দিকে তুলুন।
এইভাবে কম করে ২০ বার করুন এই পদ্ধতিতে।
সাইড লাইং লেগ রাইসেস : এটি অনেকেই জানেন তারপরেও!
কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন।
হাত দিয়ে মাথার নিচে সাপোর্ট দিন।
আরেকটি হাত আপনার ওয়েস্টে রাখুন।
পা আস্তে আস্তে উপরের দিকে তুলুন এবং নামিয়ে নিন। ১০ বার করুন।
পার্শ্ব পরিবর্তন করে ফের করুন।
শর্ট স্কয়াট : কাধ শিথিল করে দুই পা দূরত্বে রেখে দাঁড়ান।
দুই হাত জড়ো করুন এবং বডি কিছুটা নিচু করুন।
পা সমান রেখেই ফের পুনরায় হালকা ওঠ বসের মত করুন।
পাঁচ বার করার পর বিশ্রাম নিন।
কিন্তু যে বিষয়গুলির সঙ্গে একেবারেই জড়াবেন না তার মধ্যে ;
- কোনও হার্ড স্পোর্টস যেমন বেসবল, ক্রিকেট, এবং ফুটবল, ঘোড়দৌড় এগুলি থেকে একেবারেই দূরে থাকুন।
- ক্লাইম্বিং অথবা পাহাড়ে ওঠা এগুলি করবেন না। শরীরে প্রচুর জোর পরে এমন বিষয় থেকে দূরেই থাকবেন।
- উবু হয়ে শুয়ে যেকোনও ব্যায়াম থেকে বিরত থাকুন। এটি খুব খারাপ শিশু এবং মায়ের পক্ষে।
নিজেকে সুস্থ এবং বিপদমুক্ত রেখে হালকা ব্যায়াম করলেই কিন্তু আপনার পক্ষে বেশ ভাল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন