গরম মানেই শরীরে অতিরিক্ত জলের প্রয়োজনীয়তা সঙ্গেই অত্যধিক প্রদাহ। শরীরের নুন কমে যাওয়ার সঙ্গেই সোডিয়াম পটাশিয়াম হ্রাস পেতে থাকা। গরমে প্রেসারের সমস্যা খুব স্বাভাবিক সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় দেখা যায় প্রেসার ক্রমশই কমছে। তার কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। নুনের ঘাটতি দেখা যায়।
Advertisment
গরমকালে প্রেসার হঠাৎ করে কমে গেলে কিন্তু খুব মুশকিল। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত সম্ভাবনা দেখা যায়। আবার অনেকসময় এর থেকেও গ্লুকোজ লেভেল নেমে যেতে পারে সুতরাং খেয়াল রাখতে হবে যেন এর মাত্রা সঠিক থাকে। ঘরোয়া বেশ কিছু টোটকা এক্ষেত্রে দারুণ কাজে আসবে।
অতিরিক্ত নুন যেমন খারাপ তেমনই শরীরকে সতেজ রাখতে গেলে এর থেকে ভাল উপায় আর কিছুই নেই। বলা উচিত, এটি খুব সহজেই হারানো শক্তি ফিরিয়ে দিতে পারে। লেবু এবং নুন মেশানো জল ক্ষেত্রে ভাল প্রমাণিত হয়। খুব বেশি মাত্রায় নয়, অল্পই রাখবেন - নইলে জলের মিনারেলস এর মাত্রা কমে যাবে।
ক্যাফেইন খাওয়া খুব একটা ভাল নয় তবে এক্ষেত্রে অর্থাৎ প্রেসার সঠিক রাখতে, লো প্রেসারের মাত্রা কমাতে এটি ভাল কাজে দেবে। হঠাৎ করেই প্রেসার কমে গেলে এটির থেকে ভাল ফলাফল দিতে পারে। অল্প সময়েই দেখা যায় মিরাকেল!
তুলসীর রস! কারণ এতে সঠিক পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি থাকে যেই কারণে শরীরে সতেজতা থাকে, এবং সহজেই প্রেসার সাধারণ মাত্রায় পৌঁছায়। এছাড়াও এতে ইউগেনোল থাকে যেটি ব্লাড প্রেসার আয়ত্বে রাখতে সাহায্য করে।
মুনাক্কা অথবা কালো কিসমিস, প্রেসারের পক্ষে বেশ ভাল প্রমাণিত হতে পারে। সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে সেই কালো কিসমিস এবং পরের দিন সকালে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ফোটাতে হবে - তারপরেই পান করতে হবে। এটি রক্ত প্রবাহকে সচল রাখে এবং রক্তকণিকার মাত্রা ঠিক রাখে।