চুল আরও ফ্রিজী হয়ে গেছে? এটি খুব সাধারণ বিষয় এই সময়। শীতের শুরুতেই চুলের সমস্যা খুব বাড়তে থাকে। এইসময় থেকেই শুষ্ক ভাব এবং খুশকির সমস্যা দেখা দেওয়ার সুযোগ বেশি। তাই সেই কারণেই প্রথম থেকেই এর সুরক্ষা দিতে হবে। শুধুই স্কিনকেয়ার নয়, তার সঙ্গে চুলের যত্ন নেওয়া দরকার। ছোট্ট কিছু টিপস আর চটজলদি মুশকিল আসান।
সুজাতা সারদা ( সিইও, মেল হারবাল ) বলেন চুলের শুষ্কতা এবং চুলকানি ভাব অনুভূত হওয়া এই সময় সাধারণ ব্যাপার। এবং চুলের সঙ্গে সঙ্গেই সেই খুশকি কিংবা শুকনো চামড়া কিন্তু ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। পাঁচটি এমন টিপস উল্লেখ করেন তিনি যেগুলি আপনার কাজে অবশ্যই আসবে।
প্রথমত, একে গোঁড়া থেকে মজবুত করতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেলেই চলবে না। প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। হেলদি খাবারের মত, শুধু কাজু, আলমন্ড এবং পিনাট খেলেই হল না। এতে শুধু চুল ভেতর থেকে শক্ত হবে এটা নয়, চুলের প্রোটিন যেমন দরকার হবে তেমনই এর শাইনও বাড়াবে। চুল ভাঙবেও না এবং চুলের ফ্রিজ হবে না।
দ্বিতীয়ত, শীতের শুরুতে চুলে তেল দিতে হবে। তাহলেই কিন্তু চুলের রুক্ষতা দূরে যাওয়া সম্ভব। চুল ধোয়ার আগে এবং চুল ধোয়ার পরে, সবসময় তেল লাগানো খুব দরকারী। এসেনসিয়াল অয়েল চুলে লাগাতেই পারেন। স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করা বেশ দরকারি।
তৃতীয়, শীতের শুরুতে ডিপ কন্ডিশনিং করা খুব দরকার। তার কারণ এই সময় স্পেশাল কেয়ার প্রয়োজন হয়। হোম রেমেডি এর থেকে ভাল উপায় কিছুই নেই। দই সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং মধু লেবু মিশিয়ে একটা প্যাক যদি মিনিট ১৫/২০ রেখে দেওয়া যায় তবে কিন্তু বেজায় ভাল। চুল দারুন থাকবে।
চতুর্থ, একেবারেই চুলে গরম জল দেওয়া চলবে না। চুলে গরম জল দেওয়া মানে এর আরও সমস্যা। খুশকি থেকে ড্রাই চুল সবকিছুই নতুন করে চাগাড় দেবে। নয়ত ঈষৎ উষ্ণ জল নয়ত ঠান্ডা জল যেকোনও একটা।
পঞ্চম, আপনি বেশ কিছু লিভ-ইন কন্ডিশনার বা চুলের তেল বেছে নিতে পারেন, যা সিরাম হিসেবে কাজ করে। সেরকম মনে হলে চুলের আগায় শুধু লাগাতে পারেন তেল তাহলে দুমুখো চুলের সমস্যা কমবে। তার সঙ্গেই পণ্যের লেবেলটি আগে থেকে পড়ে নেবেন। সবকিছু আপনার চুলের সঙ্গে যায় না। তাই আগে থেকে এটি মাথায় রাখবেন।
ব্যস! তাহলে এই রইল টিপস, এবার নিজের যত্ন করলেই হল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন