Omicron And Gym: ওমিক্রন আতঙ্ক ক্রমশই উর্ধ্বমুখী। এবং সম্পূর্ণ অন্যধাঁচের একটি ভাইরাস এবং যাকে নিয়ে এখনও অনেক তথ্য জানা বাকি! সুতরাং এটি নিয়ে হাফাহাফি সমস্যা থাকছেই। যদিও বহুদিন পর মহামারীর করাল গ্রাস কে হ্রাস করেই জিম কিংবা শরীরচর্চা কেন্দ্র গুলি খোলা হয়, তার মধ্যেই ফের আবার নতুন প্রকোপে মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ক্রমশই দেশ এবং রাজ্যের পরিস্থিতি সঙ্গেই সরকারি নানা ধরনের স্বাস্থ্য বিধির গাইডলাইন নিয়েও জেরবার জীবন যাত্রা। এর মধ্যেই কী জিমে যাওয়া আপনার উচিত?
বাতাসে ভাসছে ওমিক্রন, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
হাই মিউটেশনের ভাইরাস কিন্তু ভীষণ ভাবে ছোঁয়াচে হতেই পারে। এবং গবেষকরা বারবার জানান দিচ্ছেন করোনা ভাইরাসের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট গুলির মত এটিও হাওয়ায় ছড়াতে পারে। এর স্থায়ীত্ব বেশিদিন হয় না তবে, স্বল্প সময়েই সংক্রমিত করতে পারে। যদিও বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত শীতের কারণে ভাইরাসের চাগাড় দেওয়ার সম্ভাবনা একটু কমই, তারপরেও যেন রেশ থাকছে ভয়ের।
প্রদেশীয় চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, জানুয়ারির শেষ থেকেই দেশ জুড়ে বাড়তে পারে ভাইরাসের প্রকোপ - হয়ত বা মারাত্বক কিছু নাও ঘটতে পারে তারপরেও সতর্ক হতে হবে। এমনিতেও দেশে বুস্টার ডোজের প্রক্রিয়া শুরু হয় নি, ঠিক এই সময় যেকোনও বস্তুর ওপরেও কিন্তু ভাইরাস থাকতেই পারে। অর্থাৎ এমন জায়গায় ছুঁলেন যেই জায়গাটি আগে থেকে উপসর্গ হীন ব্যক্তি ছুঁয়ে রেখেছিলেন সেইক্ষেত্রে হতে পারে সমস্যা।
প্রসঙ্গেই, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতামত, যেহেতু জিম অর্থাৎ বেশ কিছু নির্দিষ্ট মেশিন কিংবা জায়গা তেই মানুষ একসঙ্গে শরীরচর্চা করেন তাই স্পর্শ হবে এমন কিছু থেকেই দূরে থাকতে হবে। ৩০ মিউটেশনের মাত্রা যুক্ত এই ভাইরাস হাত থেকেই ছড়িয়ে পড়তে পারে মানবদেহে।
বিকল্প কী?
একেতেই বাড়ি থেকে দরকার ছাড়া বেরতে না করেছেন । তাই আপাতত জিম থেকেই দূরত্ব বজায় রাখাই শ্রেয়। এমনকি চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন ঘামের ড্রপলেট থেকেও হতে পারে সংক্রমণ। সুতরাং বাতাসের থেকে তো বটেই দৈহিক সংস্পর্শের থেকেও ঝুঁকি থাকছে। আবার অনেকে এমনও ধারণা দিচ্ছেন বাতাসের আর্দ্রতা কিন্তু ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ততে সহযোগিতা করে, তাই সেই থেকেও শারীরিক সংক্রমণ বাড়তে পারে। সুতরাং বাড়ির বাইরে গিয়ে এই সময় ব্যায়াম করা উচিত নয়। শীতকালে এমনিতেও সর্দি কাশি লেগেই রয়েছে, আর শারীরিক ইমিউনিটি ক্রমশই কমতে থাকে এই সময়, তাই রিস্ক ফ্যাক্টর কিন্তু থাকছেই। অথচ জিম করার সময় কারওর পক্ষে মাস্ক পড়ে থাকা সম্ভব নয়, তাই রোগের ছড়িয়ে পড়া খুব স্বাভাবিক।
চিকিৎসকরা বারবার জানিয়েছেন, এই সময়ে ব্যায়াম ছাড়া একেবারেই উচিত নয়, বরং এমন কিছু করতে হবে যাতে সুস্থ থাকেন আর অসুখও না হয়। তবে হ্যাঁ ঠিক যেই সময়ে বাড়িতে ব্যায়াম করতেন সেইসময়ে ব্যায়াম করতে হবে, অর্থাৎ সময় এদিক ওদিক করলে চলবে না, কারণ এগুলি নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ। খোলা জায়গায়, এমনকি যেখানে ধুলোবালি নেই সেইখানে শরীরচর্চা করা সবথেকে ভাল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন