Advertisment

বাড়ছে করোনা গ্রাস! কোন ওষুধে সুস্থ থাকবেন জানেন?

চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ওষুধ খান

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
corona daily cases updates in westbengal 22 february 2022

প্রতীকী ছবি

করোনা গ্রাসে জর্জরিত চারিদিক। মানুষের শারীরিক অসুস্থতা যেমন রয়েছে মানসিক শান্তি তেমনই হারিয়েছে। কথায় বলা হচ্ছে হাওয়ায় ভাসছে ওমিক্রন। রাজ্যের কিছু কিছু স্তরে প্রায় গোষ্ঠী সংক্রমণের চিত্র! দৈনিক গ্রাফ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। এমন অবস্থায় সুস্থ থাকার উপায় খুঁজছেন সকলেই। নিজেকে ভাল রাখতে চিকিৎসকরা বেশ কিছু ওষুধ এবং টিপসের উল্লেখ করেছেন সেগুলি কিন্তু আগেভাগে মজুত রাখা ভাল। 

Advertisment

ভ্যাকসিন সেইভাবে কাজ দিচ্ছে না! দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরেও করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই নেই। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে গেলে বেশ কিছু বিষয়ে ধ্যান দেওয়া প্রয়োজন। প্রথম দুই ঢেউ এর সময় বেশ কিছু ট্রিটমেন্ট এবং ওষুধ সম্পর্কে জানা গিয়েছিল তবে সেগুলি সব কিন্তু সঠিক নয়। অর্ধেকের বেশির ব্যবহার বন্ধ হয়ে গিয়েছে কোনোটা আবার চিকিৎসকরা ভাল বুঝেই বন্ধ করে দিয়েছেন, তাহলে আপনারা কী করবেন? 

বেশিরভাগ এলাকায় জিজ্ঞেস করলেই প্যারাসিটামল কিংবা ক্যালপলের ব্যবহার একেবারেই বেড়ে গেছে। এবং অমিক্রন সংক্রমণ প্রসঙ্গে এখনও অনেকেই জানেন না, তাই পুরনো পন্থা অবলম্বন করেই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন। বেশিরভাগ মানুষের প্রয়োজন হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক নয়তো একেবারেই কমছে না। প্রথমে লভার্মেক্টিন এবং হাইড্রক্সিক্লোরকুইন ব্যবহার করা হলেও বদল এসেছে চিকিৎসায়। অন্তত এবারের মত চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন প্রটোকলের মধ্যে রেমডেসেভির এবং টোসিক ওষুধকে ধরে রাখা হয়েছে। কারণ পরবর্তীতে সাইকো টিন লেভেল কমে যাবে এমন কিছু ব্যবহার করা যাবে না। 

তবে বর্তমানের সময়ে স্টেরয়েডের ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তার কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন স্টেরয়েড আসলে ভীষণ মাত্রায় কাজে দিচ্ছিল, কারণ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই শরীরের প্রদাহ অত্যধিক মাত্রায় বেড়ে যাচ্ছিল। বিশেষ করে যারা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি কাজ করছিল বটে, কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাঁচাতে পারলেও পরবর্তীতে মানুষের অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হওয়া থেকে রোধ করতে পারছিল না। যার জেরেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, অন্ধত্বের মত প্রতিক্রিয়া মানুষের জীবনে আসতে শুরু করে। 

বেশিরভাগই জানাচ্ছেন একদম প্রথম পর্যায়ে স্টেরয়েড ব্যাবহার না করাই ভাল। এতে পরবর্তীতে নানা সমস্যার সূত্রপাত ঘটতে পারে। AIIMS এর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সময় বুঝেই তারপরে চিকিৎসার বদল আনা হবে। যাদের ক্ষেত্রে অসুস্থতার মাত্রা একটু বেশি হবে তাদের জন্য কিন্তু চিকিৎসার পরিভাষা অন্যরকম হতেও পারে। তবে বাদ দেওয়া চলবে না ওরাল অ্যান্টি ভাইরাল পিল। মলনুরপিরভির নামক এই ওরাল পিল কিন্তু সংক্রমণ থেকে অবশ্যই বাঁচাতে পারে বিশেষ করে যাদের অক্সিজেনের মাত্রা কম কিংবা শ্বাসকষ্টের সূত্রপাত তাদের ক্ষেত্রে। এছাড়াও ড. রেড্ডি, হেটেরো, নাটকোর তরফ থেকেও পাঁচদিন ব্যাপী একটু ওষুধ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। 

এছাড়াও চেষ্টা চলছে বুষ্টার ডোজ সংক্রান্ত। Monoclonal antibody যাতে ভবিষ্যতে অবশ্যই কাজ করতে পারে সেই নিয়েও যথেষ্ট কাজে লিপ্ত বিজ্ঞানীরা। শরীরে নতুন এবং সবল কোষের মাত্রা বৃদ্ধি করতে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা দরকার। তবে এই ট্রিটমেন্ট বেশ খরচ সাপেক্ষ বলেই জানা গিয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus Omicron COVID-19 Infection medicine
Advertisment