করোনা মহামারীর রেশ বেশ কিছুটা কমেছে। মানুষ ধীরে ধীরে নিজের সাধারণ জীবনে ফিরতে শুরু করেছে। ভয় এখন অনেকটা অতীত! এরই মাঝে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যখন কোনও রোগ একেবারেই শেষের পর্যায়ে পৌঁছায় তারপরেও কিন্তু সংক্রমিত হতে পারে শুধু তাই নয়, সেটি মৃত্যুর দিকেও ঠেলে দিতে পারে।
সাংবাদিক বৈঠকে মাইক রায়ন ( কার্যনির্বাহী পরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ) বলেন, বিশ্বের সকল নাগরিকের একেবারেই পুরনো অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত নয়। সতর্ক থাকুন, কারণ শেষের দিকে সব রকম সুরক্ষা থাকা উচিত। এন্ডেমিক অর্থ যে, একেবারেই এর প্রভাব নেই এমনটা নয়। তিনি বলেন, একদম স্বল্প মাত্রায় এই পর্যায়ে এটি সংক্রমিত করছে ঠিকই তবে মৌসুমী সংক্রমণ এবং অন্যান্য ফ্লু এর সঙ্গে মিলে এটি আবারও নিজের ক্ষমতায় ফিরতে পারে, তাই সাবধানতা ভাল।
এই প্রসঙ্গেই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এই নিম্নস্তরের সংক্রমণ কিন্তু সাংঘাতিক প্রমাণিত হতে পারে। বছরের পর বছর ধরে বেশ কিছু রোগ যেমন যক্ষ্মা, এন্ডেমিক এইচ আই ভি, এবং ম্যালেরিয়া এগুলি অল্প সংক্রমণের দ্বারাই মানুষকে হত্যা করতে পারে। আরেক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এন্ডেমিক অথবা স্বল্প স্তরের সংক্রমণকে ভালর সঙ্গে তুলনা করা যায় না।
সংক্রমণ কম করতে মানুষের সমস্যা কম করতে গেলে অনেক শক্তি সম্পন্ন কর্মসূচি প্রয়োজন। এখন খেয়াল করলেই দেখা যাবে, মানুষ আর আগের মত নিয়ম মানছেন না, মাস্ক পড়া বন্ধ করে দিয়েছেন। সেইভাবে স্বাস্থ্যবিধি তাদের মধ্যে আর দেখা যাচ্ছে না। মহামারী থেকে এন্ডেমিক অর্থাৎ ভাইরাসের লেবেল পরিবর্তন, স্বাস্থ্যবিধি আগের মতোই থাকা উচিত।
ভবিষ্যতে এর থেকে কীভাবে সুরক্ষা সম্ভব?
করোনা কে শক্ত হাতে দমন করতে গেলে একেবারেই অনিয়ম করা চলবে না। ভাইরাসের ওপর এক টেকসই নিয়ন্ত্রণ দরকার। বিশেষ করে যারা দুর্বল তাদের সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। জনগোষ্ঠীকে আরও সতর্ক হতে হবে। যে সংক্রমণ গুলি প্রতিরোধ করা যায় না সেগুলির জন্য শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজন, দৈহিক ভাবে জুজতে হবে নইলে খুব মুশকিল। নিজেদের স্বাস্থ্যবিধি চালিয়ে যেতে হবে।