বজরংবলী হনুমানের কীর্তির শেষ নেই। তাঁর সাধনা আর শক্তি অপরিসীম। ভক্তদের জন্য তিনি সর্বদাই করুণাময়। ভক্তকে সঠিক পথে চালনা করা, ভক্তের বিপদে-আপদে সর্বক্ষণ থাকা- হনুমান মানেই যেন এই সব নিশ্চয়তা। তাঁকে মন দিয়ে ডাকলে কোনও ভক্তকেই ফেরান না বজরংবলী।
ভারতের নানা প্রান্তে হনুমান মন্দির আছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি মন্দিরের খুব খ্যাতি। কারণ, এই সব মন্দিরে গিয়ে রীতিমতো ফল পেয়েছেন ভক্তরা। তাঁদের কথা শুনে দূর-দূরান্ত থেকে এই সব মন্দিরে ছুটে আসেন নতুন নতুন ভক্ত।
এমনই এক হনুমান মন্দির রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া রাজাদের কর্মভূমি ইন্দোরের বাসিন্দাদের ধর্মের প্রতি টান বরাবরই। সেই ইন্দোর শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে হনুমানজির এক মন্দির। যা অত্যন্ত জাগ্রত বলেই দাবি ভক্তদের। সানওয়ার গ্রামের এই হনুমান মন্দিরের এক বিশেষত্ব রয়েছে।
এখানে হনুমানজি রয়েছেন উলটো রূপে। তাঁর সেই রূপেরই পুজো করেন ভক্তরা। বাসিন্দাদের বিশ্বাস, তিন থেকে পাঁচটি মঙ্গলবার এই উলটো হনুমানজির মূর্তি দর্শন করলে, সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়। আর, তাঁর মূর্তিকে যদি মন থেকে ছোলা দেওয়া হয়, তবে সম্পূর্ণ মনস্কামনাও পূরণ হয়। কবেকার এই মন্দির, তা কেউ জানে না। তবে, বহুবার এর সংস্কার হয়েছে।
আরও পড়ুন- সিংহ মহেশ্বরী মন্দির, যেখানে অন্ত মেলেনি শিবলিঙ্গের, ভক্তরা পান মহাদেবের অপার কৃপা
স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস অহিরাবণ বধের সময় এই মন্দির যেখানে, সেখান দিয়েই পাতাললোকে প্রবেশ করেছিলেন হনুমানজি। সেই সময় তাঁর মাথা ছিল নীচের দিকে। আর পা ওপরে। সেই স্মরণে এখানকার হনুমান মূর্তির মাথা নীচের দিকে। এই হনুমান মূর্তিকে বাসিন্দারা বলেন, উলটো হনুমান। ভক্তদের কাছে তাঁর এই মন্দির পরিচিত, 'শ্রীশ্রী পাতাল বিজয় উলটে হনুমান' মন্দির নামে।
প্রতি মঙ্গল এবং শনিবার তো আছেই। অল্প দিনে মনস্কামনা পূরণ হওয়ায় অন্যান্য দিনেও এখানে ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। এর কাছেই বয়ে গিয়েছে শিপ্রা নদী। যার তীরে ছড়িয়ে রয়েছে বহু পূণ্যভূমি, তীর্থক্ষেত্র। এই হনুমান মন্দিরও তারই অন্যতম।