ভারতে টিকাকরণ ১০০ কোটির মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেছে অনেকদিন। তবে এমন অনেক ব্যক্তিই আছেন যাঁরা দুটি ডোজ নিয়েও ওমিক্রনে আক্রান্ত। এটিকে বেশ কিছুদিন আগেই ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন ঘোষণা করা হয়েছে। এবং এর মধ্যেই পজিটিভ কেসের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাহলে আসল সমস্যা কোথায়?
যদিও বা চিকিৎসকরা বলছেন, দ্বিতীয় ঢেউ থেকে একটু রেহাই মেলার পরেই মানুষজন এদিক ওদিক ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং সেই থেকেও সংক্রমণ আসতেই পারে। তবে সমস্যা অন্য জায়গায়! আপনি যদি সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনেটেড হন, এবং দূর দুরান্তের কোথাও ভ্রমণ পর্যন্ত করেননি তারপরেও কীভাবে সেইসব মানুষের হতে পারে সংক্রমণ?
চিকিৎসকদের মতামত কী এই প্রসঙ্গে?
তাদের মধ্যে অনেকেই বলছেন, আমাদের অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে ভ্যাকসিন নিয়ে যে এটি ভাইরাসের কবল থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখবে। তবে অনেকেই জানেন না, মহামারীর পর্যায়ে তিন থেকে চার মাস অন্তর অন্তর কিন্তু ভাইরাসের ছোবল জোড়ালো হতেই পারে। এবং ভ্যাকসিন কম করে ৬/৭ মাস দারুণ ভাবে কার্যকরী থাকে - তাই এই বিষয়ে ভাবনা ভুল যে এটি আজীবন আপনাকে রক্ষা করবে। বরং ভ্যাকসিন এই কারণে মানুষকে দেওয়া হয়েছে যাতে অসুখের বাড়বাড়ন্ত থেকে তারা রেহাই পায়। এর আগেও অবশ্যই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন প্রয়োজনে বছর বছর বুষ্টার নিতে হতেও পারে।
যাঁরা এতদিন কোথাও ঘোরেননি কেন এই অবস্থা?
বিষয়টি সত্যিই আশঙ্কাজনক! তারপরও নিজেদের এর থেকে সুস্থ রাখতে হবে। বিজ্ঞানীদের মতে বেশিরভাগ মানুষ এখন ভ্যাকসিন গ্রহণ করে ফেলেছেন। এবং এরপরেও সংক্রমণকে মূলত গোষ্ঠী সংক্রমণ হিসেবেই ধরা যেতে পারে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কিছু সংক্রমিত সম্প্রদায়ের মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে।
তারা মনে করছেন এই ধরনের সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব মানবদেহের অনাক্রমতা থেকেই বাসা বাঁধতে পারে। এমন একজন ক্রনিক আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে এটি মানবদেহে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তখন কিন্তু টিকা কোনওরকম ভাবে কাজ করতে সক্ষম নয়।
গবেষণা কী বলছে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে যেসকল মানুষেরা প্রথম পর্যায়েই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তারা কিন্তু এখন বেশ আতঙ্কে। তাই তাদের জন্য অবশ্যই বুষ্টার ডোজের ব্যবস্থা করা আবশ্যিক। কারণ দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে গেলে প্রচুর সময় লেগে যাবে, আর পুরনো ভ্যাকসিনের সময় পার হয়ে যাওয়ার কারণেই মানুষ এখন ইমিউনিটির দিক থেকেও স্ট্রং নয়, সেকারণেই যথেষ্ট সমস্যায় রয়েছেন প্রত্যেকেই। বারবার বলা হচ্ছে, অযথা প্রয়োজন না পড়লে যেন কেউ বাইরে ঘোরাঘুরি না করেন এবং মাস্ক, স্যানিটাইজার অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন