বাইরে বেরলেই প্রচণ্ড গরম, তাপমাত্রায় ঘাম এবং ত্বক একেবারে জ্বলে যাওয়ার উপক্রম। রোদ থেকে ফিরলেই বোঝা যাছে স্কিনের লাল ভাব এবং রুক্ষতা। এইসময় কিন্তু ব্রণর সমস্যা খুব স্বাভাবিক, তবে এটি ছাড়াও নানা কারণে ব্রণর দেখা মিলতেই পারে, তাঁর একটি হল ছোট পশম কিংবা বৃদ্ধি না পাওয়া লোম। অনেক সময় দৈহিক অথবা মুখের পশম সহজভাবে বাড়তে পারে না, যার ফলেই এই ব্রণ কিংবা পিম্পেল দেখা দিতে পারে।
Advertisment
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ গীতিকা গুপ্তা বলছেন, অনেক সময় হঠাৎ করেই মুখে গোটা কিংবা লাল ভাব দেখা যায়। সঙ্গেই প্রচণ্ড ব্যাথা এবং মাঝে মাঝে চুলকানি অনুভূত হয়। এটি কিন্তু শুধুই ব্রণ নয় বরং পশম বৃদ্ধি না পাওয়ার ফলে স্কিনে আঘাত করতে পারে। সেই থেকেই ফুলে গিয়ে ব্রণ এবং লাল ভাব সৃষ্টি করতে পারে। এর থেকে উপায় একটিই, যথা সম্ভব পশমটিকে সহজ ভাবে বাড়তে দেওয়া, তবেই মিটবে ব্রণর সমস্যা।
তিনি বলছেন, অনেকেই এখন মুখের পশম তোলেন, ফলে সেটি নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আটকাতে পারে। বিশেষ করে যারা শেভ করেন। ওয়াক্স করলে অনেকটা রেহাই যে গোঁড়া থেকে পশম উঠে যাচ্ছে, তবে শুধুই চেঁচে ফেলা সঠিক নয়। কী করবেন?
এই ক্ষেত্রে সবথেকে আগে দরকার এক্সফলিএশন, অর্থাৎ স্কিনের কোষগুলিকে জাগিয়ে তোলা। ফিজিক্যাল এক্সফলিএন্ট দ্বারা সপ্তাহে দুইদিন স্কিনের যত্ন নিতে হবে। আবার সপ্তাহে একদিন কেমিক্যাল এক্সফলিএন্ট দিয়ে যত্ন নিতে হবে। কেমিক্যাল টি আসলেই অ্যাসিড যুক্ত বেশিরভাগ সময় স্কিন পিল অফের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়। তাই মাথায় রাখবেন, এটির ব্যাবহারের আগবে চিকিৎসকের পরামশ নিতে হবে।
এর ঠিক পরের ধাপেই স্কিনের আদ্রতা বজায় রাখা খুব দরকারি, সেই কারণেই ক্রিম অথবা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। তবেই স্কিনের হিলিং অথবা প্রতিরোধ ভাল করে হবে। স্কিনের শেভিং অথবা পশম তোলার আগে গরম জলে দিয়েও স্কিন ভাল করে ধুয়ে নিন। যেদিকে লোমের গ্রোথ, সেদিকেই এটিকে তোলার ব্যাবস্থা করুন। উল্টোদিকে টানলে মুশকিল।
চেষ্টা করুন, শেভিং নয় বরং লেসার ট্রিটমেন্টের সাহায্য নেওয়ার। এতে স্কিনের ওপর চাপ পরে না, সঙ্গেই ব্রণর সমস্যাও দেখা যায় না।
অবশ্যই মনে রাখবেন, পশমের কারণে ব্রণ হলে সেটিকে ফাটানোর কিংবা লোমটিকে তুলে ফেলতে যাবেন না, এতে কিন্তু ইনফেকশন হতে পারে। অনেক সময় এটির থেকেই বিরাট আকার ধারণ করে, তাই না খুঁটে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।