আপনি কি সারারাত জেগে থাকেন? একেবারেই ঘুম আসেনা? তাহলে আপনি জেনে শুনে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন। কারণ অতিরিক্ত রাত জাগার ফল আপনাকে ডায়াবেটিক করে তুলতে পারে। ঘুমের অভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে কর্টিসল হরমোনের প্রভাব। এর সঙ্গেই ইনসুলিনের মাত্রা যেমন বাড়তে পারে তেমনই ব্লাড সুগার ক্রমশই বাড়তে থাকে।
কথায় বলে যেকোনও স্ট্রেস হরমোন, বাড়িয়ে তুলতে পারে মিষ্টি জাতীয় খাবারের ইচ্ছে। রাত বিরেতে এই ইচ্ছে বেশি হয়, এবং সেই থেকেই প্রতিদিন অতিরিক্ত কার্ব তথা ক্যালরি যুক্ত খাবার খেলে বাড়বেই সুগারের মাত্রা। সেই কারণে রাত্রিবেলা সঠিক সময়ে ঘুমিয়ে পরা ভীষণ দরকার। এসবের সঙ্গেই কিন্তু আপনার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে তুঙ্গে।
গবেষণা বলছে অতিরিক্ত মাত্রায় ঘুমের অভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে লেপটিনের মাত্রা। এবং লেপটিন বাড়লেই আপনার ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়ার সাধ ক্রমশই বাড়বে। ফলেই মেটাবোলিজম হ্রাস পেতে শুরু করলে কিন্তু বেজায় মুশকিল। সুতরাং নিজের ঘুমের দিকে নজর দেওয়া দরকারি। আর সঙ্গেই ব্লাড সুগারের মাত্রা আয়ত্বে রাখাও দরকার। মার্কিন প্রদেশের গবেষণা অনুযায়ী, অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম খুবই দরকার শরীরের সতেজতা ফিরে পেতে।
আপনার ঘুম সংক্রান্ত নানান অসুবিধা কিন্তু সহজাত ভাবে দুর করা সম্ভব। শুধুই প্রয়োজন একটু সতর্কতা, সারাদিন পর শরীর এমনিও ক্লান্ত থাকে। তাই নিজেকে মানসিকভাবে নিস্তেজ করলেই ঘুম নিয়ে কোনও বিবাদ থাকবে না। বিশেষ করে যে বিষয়গুলি সমস্যা সৃষ্টি করে তার মধ্যে ;
বেশি ভাবনা চিন্তা এবং মানসিক উত্তেজনা
অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং শরীরের শুষ্ক ভাব
মানসিক অবসাদ এবং মেজাজ পরিবর্তন
উদ্বেগ, স্ট্রেস এবং অশান্তি - এই কারণগুলি কিন্তু ব্যাপকভাবে লক্ষণীয়। সেই কারণেই ঘুমাতে যাওয়ার সময় মাথা ঠান্ডা রাখা খুব দরকার।
এবং নিজের শরীরের প্রয়োজনেই বেশ কিছু টিপস মেনে চললে ভাল! যেমন :
- অন্ধকার ঘর ছাড়া ঘুমানো একেবারেই উচিত নয়।
- ঘুমানোর তৎক্ষণাৎ আগে মোবাইল ব্যবহার করা বন্ধ করা উচিত।
- সারাদিনে শারীরিক সক্রিয়তা বজায় রাখতে হবে।
- যেকোনও বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা চলবে না।
- ঘুমানোর আগে আগেই মদ্যপান, ক্যাফেইন এগুলি খাবেন না।
- ঘুমানোর আগে স্নান করুন, বই পড়া অভ্যাস করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন