Advertisment

'পিঠে ব্যাথা' একটি সাধারণ করোনা উপসর্গ, অযথা আতঙ্ক নয়! মত বিশেষজ্ঞের

মূলত এটি লং কোভিড বলেও অভিহিত করা যেতে পারে। এই ব্যাথা কোভিড পরবর্তী ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত চলতে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

তবে সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত অনেকেই জানিয়েছেন, তাদের অনেকের তলপেটে ব্যাথা, শিরদাঁড়ায় ব্যাথা ইত্যাদি নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। যা সাধারণত বিরল।

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমে এলেও আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন করোনা ভাইরাস কিন্তু এখনও সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়নি। তাই আমাদের গাছাড়া মনোভাব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আরও কিছুদিন যাবতীয় কোভিড প্রোটোকল মেনে না চললে আবার যে কোন মুহূর্তেই বাড়তে পারে সংক্রমণ। মূলত করোনা ভাইরাস ডেল্টা অথবা ওমিক্রনের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত জ্বর, সর্দিকাশি, স্বাদ চলে যাওয়া, র‍্যাশ ইত্যাদি নানা উপসর্গের সঙ্গে পরিচিত।

Advertisment

তবে সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত অনেকেই জানিয়েছেন, তাদের অনেকের তলপেটে ব্যাথা, শিরদাঁড়ায় ব্যাথা ইত্যাদি নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। যা সাধারণত বিরল। সেই সঙ্গে অনেকেই জানিয়েছেন তাদের অন্যান্য কোন সমস্যা ছিল না , কেবল মাত্র মাথা ব্যাথার উপসর্গ ছিল করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর। বিষয়টি আপনার আমার মতই একই সঙ্গে উদ্বেগে রেখেছে চিকিৎসকদেরও।

এপ্রসঙ্গে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার চারু দত্ত আরোরা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন “যদিও সকলে মনে করেন করে যে কোভিড ১৯ মূলত ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটায়, কিন্তু পশ্চিমে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে ৬৩ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন এমন ৬৩ শতাংশ রোগি এবং ৪২ শতাংশ যারা ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে সংক্রামিত। তাদের মধ্যে পিঠে ব্যথার একটি সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে।”

 তিনি জানান, “শরীরের তিনটি প্রধান অংশ যেখানে মানুষ সংক্রমণের সময় ব্যথা অনুভব করেন, তা হল মাথা, পিঠের নিচের অংশ এবং পেশী। "পেশীর ব্যথা মূলত হাঁটুর আশেপাশে হয়,"। ডাঃ অরোরা বলেন, “কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে সাইটোকাইনস নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। তা থেকেই মূলত প্রদাহ সৃষ্টি করে। মাথাব্যথা এবং তলপেটে ব্যথা ভাইরাসের প্রথম কয়েকটি লক্ষণগুলির মধ্যে একটি। একজন রোগী সংক্রামিত হওয়ার প্রথম ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে এটি অনুভব করে,"।

মূলত এটি লং কোভিড বলেও অভিহিত করা যেতে পারে। এই ব্যাথা কোভিড পরবর্তী ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত চলতে পারে। যদি রোগীর মধ্যে ইমিউনিটি ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে কম হয়, তাহলে এই ধরণের লক্ষণ দেখা যেতে পারে। ডাক্তার আরোরা বলেন, “এমন ব্যাথার ক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে তা হল, ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে চলতে হবে। ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সেই সঙ্গে ধাপে ধাপে আপনার কর্মক্ষমতাকে বাড়ান। কোভিড থেকে সেরে উঠেই একেবারে ১০০ শতাংশ কাজ করার চেষ্টা করবেন না”।

back bone pain
Advertisment