এই বিশ্বে সবকিছুর তথ্য যুক্তি গপ্পো যেমন আছে, তেমন অজানা ইতিহাসের সঙ্গে রয়েছে নানান ভুল ঠিক এর মারপ্যাঁচ। বছরের পর বছর যে কাজ মানুষ করে আসছেন সেই কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে বললে ঠিক কেমন লাগে? মানে হঠাৎ করেই যদি কেউ এমন বলে ডিওড্রেন্ট আপনার শরীরের পক্ষে ভাল নয়, তাহলে?
Advertisment
অতীতে আতর, সেই থেকে পারফিউম এবং আপডেটেড ভার্সন ডিওড্রেন্ট অথবা ডিও। পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে এর অগণিত ভক্ত। যদিও বা সমীক্ষা করে দেখা যাবে বেশিরভাগ সময় ছেলেরাই ডিও বেশি ব্যবহার করেন। কিন্তু অতিরিক্ত এর ব্যবহার আপনার জীবনে কতটা ক্ষতি করতে পারে সেই সম্পর্কে জানা আছে? বিশেষজ্ঞ টিম গ্রে বলছেন অনেকে মনে করেন চড়া গন্ধ যুক্ত ডিওড্রেন্ট তাদের একমাত্র বিকল্প শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে কিংবা ফ্রেশ রাখতে, তবে এই ধারণায় সম্পূর্ণ ভুল তথ্য আছে! কেন?
তিনি বলছেন ডিওড্রেন্ট শরীরের জন্য টক্সিক প্রমাণিত হতে । কীরকম? এটি দুই ভাবে মানবদেহে নানারকম ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। প্রথম, এটি ঘাম গ্রন্থি গুলোকে ব্লক করে দেয় ফলে শরীরের অতিরিক্ত জল কিংবা লবণ দেহের বাইরে বেরতে পারে না, যেটি সত্যি বেশ খারাপ। এবং দ্বিতীয়, শরীরে নানারকমের কেমিক্যাল, রাসায়নিক পদার্থ থেকে শুরু করে মেটাল এবং অ্যালুমিনিয়াম এর মত অনেক কিছুই স্কিনের মাধ্যমে সরবরাহ করে যেটি আদতেই খারাপ।
কেন খারাপ এটি?
তিনি বলছেন, যখন মানুষ কোনও খাবার খান এবং সেটি শরীরে সমস্যা ঘটায় তখন হজমের সমস্যা দেখা যায়। খুব বেশি হলে লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে তবে যখন ডিওড্রেন্ট স্কিনে দেওয়া হয় সেটি সমস্যা ঘটাতে পারে রক্তপ্রবাহে এবং সেই থেকেই মেটাবোলিজমের সমস্যা হতে পারে।
তার বক্তব্য, এই ডিওড্রেন্ট এর ফলে যেহেতু ঘামের গ্রন্থি গুলি বন্ধ হয়ে যায়, তাই ডিটক্সিফাই হতে সমস্যা হয়। ফলে শরীরের অপ্রয়োজনীয় তরল একেবারেই বেরতে পারে না। যদিও বা অতিরিক্ত মাত্রায় ঘাম খুবই খারাপ একটু বিষয়, তারপরেও দেখা যায় এটি শরীরের নিজস্ব ধর্ম যেটিকে বন্ধ করা যায় না।
ঘামের সঙ্গে দুর্গন্ধের সম্পর্ক কি?
তিনি বলছেন ঘাম হলেই যে তার গা দিয়ে দুর্গন্ধ বেরবে এমন কোনও কথা নেই। এর একটি নির্দিষ্ট কারণ আছে। বিশেষ করে লিভারের সমস্যা কিংবা নানা ধরনের ওষুধের সেবন থেকে এই দুর্গন্ধ প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়তে থাকে। সঠিক পরিমাণ জল, গোলাপ জল সঙ্গেই কোনও ফুলের সুগন্ধি দিয়ে জামা ধুলে কিংবা একটু ডেটল অথবা স্যাভলন দিয়ে স্নান করলে এই সমস্যা অনেকটা মিটে যায়।