সকাল বেলা উঠেই লেবুজল খাওয়ার অভ্যাস অনেকের থাকে। কেউ খান ওজন কমাতে তো কেউ আবার ইমিউনিটি বাড়াতে। কেউ জেনে খান, কেউ আবার লোকের কথা শুনে খান। কিন্তু আদৌ এটি শরীরের অন্ত্রগুলিকে ভাল রাখতে সহায়ক? বেশিরভাগ সময় চিকিৎসকরা বলে থাকেন, কিডনির সমস্যায় ভুগছেন যারা তাদের পক্ষে কিন্তু এটি সামান্য পরিমাণ হলেও ক্ষতি করতে পারে।
ক্রনিক কিডনির সমস্যায় লেবুজল খাওয়া যায় কিনা এই প্রসঙ্গেই বেশ মতভেদ রয়েছে। সেইভাবে বলতে গেলে, কিডনি আমাদের দূষিত রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং টক্সিন দুর করে ব্লাড প্রেসারের থেকে যেমন রক্ষা করে তেমনই ইউরিক অ্যাসিড এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা আয়ত্বে রাখে। আর যখন কিডনির সমস্যা বৃহৎ আকারে দেখা দেয় তখন এইসব দূষিত পদার্থ রক্তে মিশে যেতে পারে। তার পরেও কিন্তু লেবু জল খেলে একেবারেই কোনওরকম সমস্যা হয় না। বরং লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনি রোগীদের জন্য ভাল।
তবে, কিডনির সমস্যায় নিঃসৃত ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা যদি সামান্য কম করতে চান তবে লেবুজল কিন্তু ভাল অপশন। নিশ্চিন্তে থাকুন এটি কোনওভাবে মাত্রার পরিমাণ বৃদ্ধি করে না। তবে এটুকু অবশ্যই মাথায় রাখবেন লেবু জল রক্তের দূষিত পদার্থ পরিষ্কার করতে পারে ফলেই কিডনি এবং হৃদরোগ জনিত সমস্যার থেকে রেহাই পেতে পারেন আপনি।
কিন্তু, অত্যধিক মাত্রায় কোনও কিছুই ভাল নয়। তাই বেশি পরিমাণে লেবুজল খেলে কিন্তু শরীরের অন্যান্য অংশে ক্ষতি হতে পারে। ডায়রিয়া, পেট গরম এবং রক্তে ফ্লুইডের মাত্রা এতই বাড়িয়ে দেয় যেই কারণেই বারবার মূত্রের অসুবিধায় পড়তে পারেন। রক্তে লবণের মাত্রা বেড়ে যায় এবং গা হাত পা চুলকাতে থাকে। ক্রনিক কিডনি রোগীর লেবু সরাসরি না খাওয়াই ভাল, এতে অ্যাসিড বেড়ে গিয়ে শারীরিক গোলমাল বাড়িয়ে দিতে পারে।
কোনও সময় খেলে এটি ভাল? অবশ্যই ভোরবেলা খাবেন। আর হ্যাঁ, জল যেন ভীষণ গরম না হয় বরং ঈষৎ উষ্ণ জল হলেই ভাল। বিকেলেও লেবুর সরবত খেতেই পারেন। তবে এই ঠান্ডায় এটি না খেলেই ভাল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন