OMICRON AND CHILD VACCINATION: ওমিক্রন নিয়ে দেশ থেকে বিদেশ সর্বত্রই বাড়বাড়ন্ত। তবে ভারতবর্ষ ছাড়া প্রতি দেশেই কিন্তু ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শিশুদের জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে। এবং বেশিরভাগ দেশেই মডারেনা, ফাইজার এই ভ্যাকসিন গুলি বিদ্যমান। তবে আদৌ বাচ্চাদের পক্ষে এটি সুরক্ষিত কিনা সেই নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। ওদের শরীরের পক্ষে এগুলি ক্ষতিকারক কিনা সেই নিয়ে জানা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গে কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?
WHO এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এমরেনা ভ্যাকসিন গুলি শিশুদের পক্ষে এক্কেবারে সুরক্ষিত। এবং বিশ্ব জুড়ে কম করে লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়ে বিশেষ করে ১৫-১৬ বছরের অনেকেই ভ্যাকসিন পেয়েছেন। তারা রীতিমতো সুস্থ আছেন, কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি শোনা যায় নি। আবার এমনও জানানো হয়েছে, যে ৫/১০ বছরের ছোট ছেলমেয়েদের অনেকেই প্রথম ডোজ নিয়ে নিয়েছেন। তাদের থেকেও কোনওরকম শারীরিক গোলমালের খবর এখনও পর্যন্ত নেই।
এম-রেনা ভ্যাকসিন থেকে ওদের কতটা লাভ হচ্ছে?
মার্কিনী এক সংস্থা জানিয়েছে যে, বিশেষ করে এম-রেনা ভ্যাকসিন গুলি শরীরে কাজ করতে বিশেষভাবে তৎপর। শিশুদের মধ্যে ইমিউনিটি এমনিই বেশি থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সূত্রে খবর শিশুদের শরীরে ভ্যাকসিন ৯১% কাজ করতে পারে এবং ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেই বাচ্চাদের মধ্যে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হতে পারে। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর হাত পা ব্যথা, জ্বর, বমি ভাব এমন কোনও লক্ষণ নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ফাইজার থেকে অনেক শিশুই প্রদাহ কিংবা হার্ট রেট বেড়ে যাওয়ার মত সমস্যায় ভুগছেন তারপরেও কিন্তু বাড়াবাড়ি হচ্ছে না একেবারেই। তবে দ্বিতীয় ডোজ প্রাপ্ত শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের লক্ষণ একেবারেই নেই। বিশেষ করে ওমিক্রন থেকে রেহাই মিলছে তাদের। সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল থেকে জানানো হয়েছে এখনও প্রদাহ জনিত কোনওরকম সূত্র নিয়ে তারা প্রমাণ পাননি। থাকেলও সেটি খুব স্বল্প মাত্রায়, সুতরাং ভয়ের কিছুই নেই। তবে ভারতের বুকে কোভিশিল্ড অথবা কোভ্যাকসিন কতটা শিশুদের ক্ষেত্রে কাজ করবে সেই নিয়েও দোলাচলে চিকিৎসকরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন