Omicron And HIV: মানবদেহে HIV অথবা হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বেশ জটিল সমস্যা গুলির মধ্যে একটি। এবং বেশ গুটি কয়েক বছর ধরেই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে অনেক সচেতনতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তবে আশঙ্কার সুর অন্য দিকে। অনেক চিকিৎসকরাই দাবি করছেন নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এটির সঙ্গে সম্পর্কিত। সাউথ আফ্রিকার অন্দরেই প্রথম এর হদিশ মেলে এবং সেখানকার স্বাস্থ্য রিপোর্ট অনুযায়ী এমন কিছু হতেও পারে!
প্রসঙ্গে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রদেশেই চিকিৎসকরা রীতিমতো আতঙ্কে। তারা নিজেরাই জানিয়েছেন HIV এবং ওমিক্রন এর মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী এটি যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। এবং দিনদিন ভাইরাসের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে আঁতুড়ঘর থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে WHO এর তরফ থেকে এমনও খোঁচা দেওয়া হয়েছে যে হতেও পারে এর সূত্রপাত অন্য কোথাও তবে শনাক্ত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসকরা।
তবে বেশ কিছু মতভেদ দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন HIV এবং তার প্রভাব মানব শরীরে অনেকদিন বজায় থাকে। এবং এর চিকিৎসাও বেশ সময় ধরে করতে হয়। তাই তারা এমনও জানিয়েছেন, যদি কোনও ব্যক্তি মাঝপথে এর চিকিৎসা বন্ধ করে দেয় সেই মানুষের শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে ওমিক্রন অর্থাৎ সেই মানুষের থেকেও ছড়াতে পারে।
এমনই একটি রিপোর্টে হদিশ মিলেছে একজন মহিলার, যার পরপর ৮ মাস ধরে রিপোর্ট পজিটিভ এসছে এবং এই সময়কালে ভাইরাসের মিউটেশন ত্রিশ টি জেনেটিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে। এবং একথা আগেও প্রমাণিত যে অসুস্থ শরীরে ভাইরাসের প্রকোপ এবং প্রভাব অনেক বেশি। ভাইরাস নিজেকে আরও বেশি করে সেই শরীরে প্রতিস্থাপিত করতে পারে। এবং পরবর্তীতে দৈহিক কার্যাবলী উপলক্ষে আরও সমস্যা দেখা যায়।
বৈজ্ঞানিকদের মতে, HIV অথবা এই জাতীয় ভাইরাস শরীরের মধ্যেই ভাইরাসের একটি নিজস্ব রূপ সৃষ্টি করতে পারে যার কারণেই জৈবিক পরিবর্তন কিংবা জেনেটিক্সের ধরন বদলাতে থাকে। যেগুলোর কারণেই নতুন ভ্যারিয়েন্ট যথা ডেল্টা, ওমিক্রন কিংবা আলফার মত ভিন্নতা দেখা যায়।
দৈহিক গঠন এবং এই দুইয়ের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক ঠিক কীরকম?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, HIV মানবদেহকে এতই দুর্বল করে তুলতে পারে যার থেকে ক্রমশই এই জাতীয় ভাইরাসগুলো বাসা বাঁধতে পারে। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিক অথবা ক্যান্সার এবং হার্টের রোগী তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও জটিল।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় HIV এর সমস্যায় ভোগেন প্রতি পাঁচজনে একজন। তাই চিকিৎসকদের আতঙ্ক তাদের থেকেই এর সূত্রপাত হতে পারে। এমনকি তারা জানিয়েছেন HIV থেকে মুক্তি পেতে বেশিরভাগ মানুষই অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি গ্রহণ করেন না। যার ফলেই সুস্থতা সহজে আসে না। এই নিয়ে আরও বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে যারা HIV দ্বারা আক্রান্ত তাদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন