ওমিক্রন নিয়ে এখন উত্তেজনা তুঙ্গে। দেশের সর্বত্র আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তার সঙ্গেই উদ্বেগ নিয়ে কোনও কথাই নেই। মানুষের মধ্যে ভয় এবং আতঙ্ক এতই বেশি, যে তাদের নতুন এই ভাইরাস নিয়ে মানসিক চাপ আসলেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একেবারেই আশঙ্কা দূরে সরানো সম্ভব নয়!
কারণ, বিজ্ঞানীরা বলছেন এটি এতই মিউটেশন যুক্ত যে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও আপনার ইমিউনিটি কমে গিয়ে শরীরকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। প্রথম দিকে যদিও বা এর থেকে ভয়ের কিছুই ছিল না তবে এখন কিন্তু অনেক মানুষ হসপিটালে ভর্তি হচ্ছেন, ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বিদেশের বুকে একজনের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এটিকে কনসার্ন বলেও অভিহিত করা হয়েছে। তবে এটি কতটা সংক্রমক অথবা মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে সেই প্রসঙ্গে নানান মতামত রয়েছে।
কোভিড ১৯ এর অন্যান্য ভাইরাসের মত আর যাই হোক, ওমিক্রন সেই মাত্রায় ছোঁয়াচে নয়। কারণ যত দিন পার হচ্ছে এর মাত্রা তত কমছে। এই ভাইরাসের মিউটেশন মাত্রা বেশি হলেও যেহেতু এটির সঙ্গে সঙ্গেই মানুষ যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেছেন তাই বিপদ একটু হলেও কম থাকছে। ভাইরাস মানবদেহের কোষগুলিকে ভীষণভাবে ক্ষতি করে এবং এটি ঠিক কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে সেই প্রসঙ্গে বলতে গেলে যেই মানুষটির থেকে এটি ছড়ায় তার ওপর নির্ভর করে, কারণ এই সময় সেই ব্যক্তির সমস্যাগুলোকে একত্র করেই মানুষকে ভাইরাস ক্ষতি করতে পারে।
যদিও বা সাউথ আফ্রিকার রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়, এমন খুব মানুষ কমই আছেন যারা এই ভাইরাসের কারণে ভর্তি হয়েছেন, বিশেষ করে শিশুর সংখ্যাই বেশি। তবে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা এর ক্ষেত্রে শেষ পর্যায়ে খুব স্বাভাবিক বিষয়। তবে এটি মানবদেহে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেই জানানো হয়েছে কারণ এর মাত্রা ব্যাপক বেশি।
এক গবেষক জানিয়েছেন, এটি সংক্রমণজনিত হতেই পারে তবে বেশিরভাগ সময় যত বেশি মিউটেশনের মাত্রা থাকে তত বেশি লক্ষণ কম থাকে। তাই ছড়িয়ে পড়ার মাত্রা বেশি থাকলেও শারীরিক ক্ষতি খুব একটা হয় না। এইক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়, তার কারণ বেশিরভাগ মানুষই জানাচ্ছেন জ্বর - সর্দি কাশির সমস্যা অনেকেরই নেই! সেই জায়গায় গলা খুসখুস এবং চুলকানির অনুভূতিই বেশি লোক বুঝতে পারছেন। তাই সেই কারণেই ভাইরাসের লক্ষণ বোঝা দায়। এখনও অবধি একজন থেকে অনেকজন আক্রান্ত হচ্ছেন সেই বিষয়ে কোনও খোঁজ মেলেনি। তবে দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বুস্টার ডোজ নিয়েও বিভ্রাট কম নেই। ভাইরাসের আতঙ্কে ফের আশঙ্কায় মানবজীবন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন