করোনা মহামারী নিয়ে যুক্তি তক্কো গল্পের অন্ত নেই। এবং তার সঙ্গেই নতুন করে কিছু না কিছু লেগেই রয়েছে। ডেল্টার পর এবার নতুন সংক্রমণের সূত্র ওমিক্রণ। এবং এর চিন্তায় মানবজীবন জেরবার। তবে শুধু এই বিষয় নয়, গবেষণা বলছে নির্দিষ্ট কিছু ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন।
যদিও রক্তের গ্রুপের সঙ্গে এর কোনও সরাসরি যোগাযোগ নেই তবে স্যার গঙ্গা রাম হসপিটালের গবেষণা বলছে, ব্লাড গ্রুপ এ, বি এবং আর এইচ এদের সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতা সবথেকে বেশি। তুলনামূলক ভাবে ব্লাড গ্রুপ ও, এবি এবং আর এইচ (-) এর ব্যক্তিবর্গের এই ঝুঁকি কম। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে বি ব্লাড গ্রুপের পুরুষদের মধ্যে বি ব্লাড গ্রুপের মহিলাদের তুলনায় ভাইরাসের আক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি।
তবে গবেষণা যখন রয়েছে তখন দ্বিমত অবশ্যই থাকছে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী এবি ব্লাড গ্রুপের (AB) ৬০ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এবং অনেকেরই বিশ্বাস যেহেতু এই ভাইরাসের প্রকোপ এবং প্রভাব নিয়ে এখনও অনেক গবেষণা বাকি, সেই কারণেই আদৌ রক্তের গ্রুপের সঙ্গে এর কোনও যোগাযোগ আছে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে গবেষণায় বেশ কিছু জিনিষ প্রমাণিত। এবিও গ্রুপ এবং আর এইচ গ্রুপের রক্তবাহী মানবশরীরে রোগের লক্ষণ, তার প্রভাব এবং এর থেকে সুস্থ হওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
শুধু তাই নয় সুস্থতার পথেও, যারা এ পজিটিভ কিংবা আর এইচ(+) ব্লাড গ্রুপের সদস্য তাদের রিকোভারি রেট বেশ কম এবং ব্লাড গ্রুপ ও (O) এবং আর এইচ (-) গ্রুপের লোকজন বেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে বেশ কিছু জায়গার সমীক্ষা এমনও বলছে, এ বি এবং ও তিন ব্লাড গ্রুপের মানুষের মধ্যেই এর লক্ষণ সমানভাবে বিদ্যমান। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পেছনেও এই নিয়ে কোনও ভেদাভেদ নেই। তবে চিকিৎসকদের অনুমান তুলনামূলক ভাবে ও ব্লাড গ্রুপের মানুষদের ঝুঁকি একটু কম। তবে রোগের ঘেরাটোপ থেকে মুক্তি এখনও মেলেনি তাই সুস্থতা অবলম্বন করা অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন