খাবার দাবারের ভেজাল কাণ্ড নিয়ে এক আগে শোরগোল একেবারেই কম হয়নি। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই রাসায়নিক যুগে শুদ্ধ এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের আশা করা খুবই কঠিন। বেশিরভাগ কিছুতেই কীটনাশক থেকে পেস্টিসাইড আরও কত কি! ক্ষেতে উৎপাদনের সময় থেকেই এতে ভেজাল কম নেই। বেসন কিন্তু এর ব্যতিক্রম নয়। যদিও এর আগে গোলমাল কম হয়নি তারপরেও বর্তমানে এর হদিশ অনেক রান্নাঘরেই মিলছে।
বেসন তৈরি হয় অনেক কিছু দিয়েই, ভুট্টার ডাল, হলুদ মটর, চাল এবং খেসারি ডাল। আর বিপত্তি কিন্তু এর থেকেই আসতে পারে। তার সঙ্গেও এতে বহাল থাকতে পারে কৃত্রিম রং। যেটি আপনার স্বাস্থ্যকে মারাত্বক ক্ষতির দিকে ঠেলে দিতে সক্ষম। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার নথিপত্রে অন্তত এই উল্লেখ আছে। প্রসঙ্গেই উল্লেখ্য, এর আগে খেসারি ডাল নিষিদ্ধ করা হয় এবং শারীরিক অসুস্থতা ল্যাথারিজমের কারণ হতে পারে বলেও জানা গিয়েছিল। তার সঙ্গেই মেরুদন্ডে অসারতা, পক্ষাঘাতের সম্মুখীন হতে পারেন মানুষ।
তবে এবার নতুন করেই খেসারি ডালের কারণে হতে পারে বেসনের ভেজাল বৃদ্ধি। Fssai এর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই একটি ভিডিও শেয়ার করে সতর্কতা জানানো হয়েছে। এবং তাতে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে আদতে আপনার রান্নাঘরের বেসন ক্ষতিকর নয় কিনা কীভাবে বুঝবেন,
- টেস্টটিউবে একগ্রাম বেসন নিন।
- দ্রবণে আসল রং বের করতেই ৩ মিলি জল মিশিয়ে নিন।
- এরপর ২ মিনি ঘন এইচসিএল যোগ করুন।
- একবার টেস্টটিউব ঝাঁকিয়ে নিন, তারপর মিশ্রণ স্থির হতে সময় দিন।
- যদি বেসনের রং পরিবর্তন না হয় তবে জানবেন এটি ভেজাল নয়। অন্যদিকে রং পরিবর্তন হয়ে গোলাপী হলে জানবেন এটি ভেজাল। কারণ রঙিন হলুদ অথবা মেটানিল হলুদ hcl এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে গোলাপী রঙ ধারণ করে।
তাই নিজের স্বাস্থের সঙ্গে কোনওরকম ভুল করবেন না, পরখ করে নিন। অর্গান খারাপ হলে আপনারই সমস্যা!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন