করোনা অতিমারীর শুরুর থেকে ডাক্তাররা বারবার মাস্কের প্রয়োজনীয়তার সামনে এনেছেন। আজকের হাল ফ্যাশনের যুগে পোশাকের সঙ্গে মানাই সই নানা রঙের কাপড়ের মাস্ক আমরা পরে থাকি। এবার সেই কাপড়ের মাস্কের কার্যকারিতা নিয়েই উঠলো প্রশ্ন। কাপড়ের মাস্কে ওমিক্রন ঠেকানো সম্ভব নয়। এমন দাবী করেছেন মার্কিন এক দল গবেষক।
ওমিক্রন ঠেকানো যাবে না কাপড়ের মাস্কে। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত হতে লাগতে পারে মাত্র ২০ মিনিট। এই তথ্য সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে সকলেই। কী জানাচ্ছেন গবেষকরা? তাদের যুক্তি মাস্ক নিশ্চয়ই সংক্রমণ রুখতে দারুণ এক অস্ত্র। কিন্তু যে কোনও মাস্কেরই সেই ক্ষমতা নেই। তাঁরা জানাচ্ছেন, যদি কোনও ব্যক্তির মুখে এন৯৫ মাস্ক থাকে, তাহলে কোনও মাস্কবিহীন সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে তাঁর অন্তত আড়াই ঘণ্টা লাগবে সংক্রমিত হতে।
আর দু’জনেই মাস্ক পরে থাকলে সময়টা বেড়ে যায় ১০ গুণ- অর্থাৎ ২৫ ঘণ্টা। সার্জিক্যাল মাস্ক সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি কাপড়ের মাস্কের থেকে অনেক বেশি সুরক্ষা দেয়। যদি কোনও মাস্ক না পরা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন কোনও সার্জিক্যাল মাস্ক পরা ব্যক্তি, সেক্ষেত্রে ৩০ মিনিট পর্যন্ত সংক্রমণকে রোখা সম্ভব।আর যযদি সেই ব্যক্তি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করেন তাহলে সংক্রমণ হতে পারে মাত্র ২০ মিনিটেই।
মাস্কহীন মানুষজন সংক্রমিত হতে পারেন মাত্র ১৫ মিনিটেই। সুতরাং কাপড়ের মাস্ক পরে থাকা আর মাস্ক ছাড়া থাকা আর মধ্যে বিশেষ কোন ফারাক থাকছে না বলেই দাবী করেছেন গবেষকরা। করোনার অন্যান্য প্রজাতির থেকে তিন থেকে পাঁচ গুন পর্যন্ত বেশি সংক্রামক ওমিক্রন প্রজাতি। তাই ডাক্তাররা ডবল মাস্ক পরার কথাও বলেছেন।
সেক্ষেত্রে আপনি যদি ওপরে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করেন তবে ভিতরে আপনাকে একটি সার্জিক্যাল মাস্ক পরতেই হবে তা হলে আপনি সুরক্ষিত একথা বলা যাবেনা। এপ্রসঙ্গে চিকিৎসক ইন্দ্রনীল চৌধুরী জানিয়েছেন, “করোনার প্রথম ঢেউ থেকেই ডাক্তাররা বারবার সার্জিক্যাল মাস্ক পরার কথা বলে আসছেন, মানুষজন নিজের খুশিমতো কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার শুরু করেছেন অনেকে আবার ভিড়ে রুমাল, মহিলারা ওড়না ব্যবহার করছেন। আমাদের উদ্দেশ্য নাক মুখ শুধু ঢাকা নয়, তার সঙ্গে সংক্রমণটাকে আটকানো, এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে”।