Advertisment

সংকটে দাম্পত্য, লকডাউনের পরেও 'ওয়র্ক ফ্রম হোম' চাইছে অধিকাংশ আইটি কর্মী

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লকডাউনের পরেও ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতেই কাজ করতে চান দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের কর্মীদের বড় অংশ। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। আইটি পেশাদারদের দাবি, বাড়ি থেকে কাজ করার ফলে একদিকে যেমন প্রতিদিনের যাতায়াতের ঝক্কি বাদ গিয়েছে, তেমনই ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।

Advertisment

তেলেঙ্গানা ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশনের (টিটা) পক্ষ থেকে সম্প্রতি ১৫০ টি প্রজেক্টে কর্মরত ৫০০ জন আইটি কর্মীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলা হয়। অনলাইন ও অফলাইনে এক মাস ধরে চলা সমীক্ষায় ৫৭% আইটি কর্মী জানিয়েছেন, লকডাউন পরবর্তী সময়ও তাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করতে চাইছেন। এর নেপথ্যে একদিকে যেমন রয়েছে করোনা আতঙ্ক, তেমনই রয়েছে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাওয়ার আগ্রহও।
প্রসঙ্গত, ৯০% কোম্পানিই লকডাউন উঠে যাওয়ার পরও ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সময়সীমা বাড়িয়েছে।

টিটার সমীক্ষকেরা আইটি কর্মীদের মোট ১৪টি প্রশ্ন করেছিলেন। তার উত্তরে ৮২ শতাংশ পেশাদার জানিয়েছেন, তাঁরা চান লকডাউনের পরও ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলুক। ৬২% শতাংশের দাবি, বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য তাঁদের কোনও অন্যায্য পরিশ্রম করানো হচ্ছে না। ৪৮% কর্মী জানিয়েছেন, তাঁরা দিনে ৮-১০ ঘন্টা কাজ করছেন। ২৯ শতাংশ কর্মীর বক্তব্য, তাঁদের কাজের সময় ১০-১২ ঘন্টা। খুব সামান্য সংখ্যক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য ইনসেনসেটিভ না পেয়ে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া পেশাদারদের বক্তব্য, আগে প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা যাতায়াত করতে হত। এই বাড়তি সময়ের পরিশ্রমটুকু এখন এড়ানো সম্ভব হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর পরিমাণ বাড়ছে।

টিটার সভাপতি সন্দীপ কুমার মাখথালার মতে, আইটি পেশাদারদের মধ্যে ডিভোর্স এবং সেপারেশনের আধিক্য উদ্বেগজনক। কিন্তু বাড়ি থেকে কাজ করার ফলে সম্পর্কে উন্নতি হচ্ছে অনেকের। ৮৯% কর্মী জানিয়েছেন, তাঁদের দাম্পত্য এখন আগের চেয়ে ভাল অবস্থায় আছে। ৪৫% আইটি পেশাদার বেডরুমেই অফিসের কাজ করছেন, ২৪ শতাংশ কাজের জন্য পৃথক ওয়ার্ক জোন বানিয়ে নিয়েছেন। ২৯% শতাংশ বাড়ির হলঘরে বসেই অফিসের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।

Advertisment