দুবছরে জীবন একেবারেই ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে না? একেবারে হাঁফ ধরে যাওয়ার মতো। এখন মন প্রাণ শুধুই রেহাই চাইছে সব অসুস্থতার থেকে। উৎসবে অনুষ্ঠানে সব কিছুতেই বাধা এবং নিষেধাজ্ঞা। প্রাণ খুলে আনন্দ করার জো টুকু নেই। তার মধ্যেই ভাইরাসের চিন্তায় মাঝে মধ্যেই অজানা এক ভয় চাগাড় দিয়ে ওঠে। কী থেকে কী হয় এই বিপদেই দিন যেন এগোতেই চায় না। কথায় বলে, খারাপ সময় সহজে কাটতে চায় না, ভাল সময়ের দৌড় বেশ তাড়াতাড়ি সম্ভব। এর মধ্যেই বহু মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করে ফেলেছেন, এবং তাদের মধ্যে এখন রোগকে পরোয়া করার বিন্দুমাত্র আগ্রহ এবং ইচ্ছে নেই। কিন্তু তা বললে তো হবে না!
নতুন প্রোটোকল বলছে এর সূত্রপাত এবং সংক্রমণের রেশ ভীষণ মাত্রায় অন্য রূপ নিয়েছে। ভ্যাকসিন গ্রহণের পরেও কিন্তু প্রচুর মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং তাতেই ঘটছে বিপত্তি। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে রোগের লক্ষণ নয়তো নেই, অথবা এতই কম যে মানুষ বুঝতেও পারছেন না। আবার বিশেষজ্ঞদের মতে বয়সের হেরফেরেও কিন্তু এই লক্ষণের তুলনা দেখা দিচ্ছে। তাই করোনা চলে গেছে এই ভেবে একেবারেই আনন্দে গা ভাসাবেন না!
যাঁরা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছেন তাদের কি সবকিছুই করা সম্ভব? একেবারেই না! এইসকল ব্যক্তিরা যদিও বা সামান্য বিপন্মুক্ত তারপরেও নির্ধারিত নিয়মগুলি কিন্তু মেনে চলতেই হবে। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার তার মধ্যে অন্যতম। এমার্জিং ভ্যারিয়েন্ট গুলির মধ্যে ডেল্টা এবং কাপ্পা কিন্তু সাংঘাতিক ভাবে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাছাড়াও, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার মতো মারণ জ্বরের প্রকোপ যথেষ্ট বেশি। তাই এইসময় একেবারেই নিয়ম ভাঙলে চলবে না।
শিশুদের এই তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এবং তার সূত্রপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। পিছু ছাড়ছে না ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু। কিছুদিন পর সেই অসুখ রূপ নিচ্ছে কোভিডের। ওদের চেষ্টা করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন যাতে পেয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন এই বিষয়ে? তাদের মত অনুযায়ী, নতুন ভাইরাসের অনুপ্রবেশ কিন্তু আপনার জীবনে নানান সমস্যা শুরু করতে পারে। বিশেষভাবে এইবার আপনি বুঝতেই পারবেন না যে রোগ আদতে বাসা বাঁধছে আপনার শরীরে। সঙ্গেই আপনার দৈহিক ইমিউনিটি প্রতিনিয়ত অনিয়মের দরুন কমতে থাকবে তাই আরও বেশি সুবিধে। এর সঙ্গেই তারা আরও উল্লেখ করেন, যারা মদ্যপান এবং ধূমপান করেন কিংবা নেশায় আসক্ত তাদের শরীরে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই পুরনো নিয়ম মেনেই আগের মতো চলুন। উৎসবের সময় তারপরেও অন্যের থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও সঙ্গে মাস্ক, স্প্রে এবং স্যানিটাইজার রাখতে ভুলবেন না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন