এখন শরীর খারাপের কিছু বয়স নেই। যেকোনও ধরনের সমস্যাই হতে পারে। আর তার মধ্যে হার্টের রোগ সবথেকে বেশি। অনিয়মিত জীবনযাত্রা আর উশৃঙ্খলতার কারণেই কিন্তু বেজায় সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। আর বেশ কিছু কারণ কিন্তু এই আকস্মিক ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বিশেষ করে কোভিডের পর এই সমস্যা বাড়তে পারে বলেই জানিয়েছেন ওয়েলনস কোচ লিউক কুতিনহ। তিনি বেশ কিছু ধারণার কথা বলেন যেদিকে ধ্যান না দিলে কিংবা অনিয়ম করলেই কিন্তু এই ঝুঁকি বাড়ে। আপনি শারীরিক ভাবে ফিট হলেও কিন্তু এই সমস্যা থাকতেই পারে। কী বলছেন তিনি?
প্যান্ডেমিকের সময় যারা কোভিড দ্বারা আক্রান্ত হন তাদের কিন্তু প্রয়োজন বিশ্রামের। এবং সেই দিকে অনিয়ম করলেই ঘুমের মধ্যেই অনেকের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকছে। বিশ্রাম নিতে হবে সময়মত। দরকার পড়লে কাজ কমিয়ে নিজের শরীরের দিকে ধ্যান দিতে হবে। সবথেকে বড় কথা কভিদের পরে তাড়াতাড়ি ট্রেনিং কিংবা জিম ব্যায়াম এগুলি শুরু করবেন না, এতে উল্টে আরও শরীর খারাপ হয়ে থাকে। শরীরের কোষগুলি তখন নিস্তেজ হতে চায় না এবং বিপদ ঘটতে পারে।
সুগার লেভেল, ডায়াবেটিক কন্ট্রোলে না রাখা কিন্তু খুব খারাপ। এটির থেকেই বেশি সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। নিজের ইচ্ছেমত চললে হয় না। তার মধ্যে হার্টের সমস্যা যদি আপনার পারিবারিক হয় তবে কিন্তু রেগুলার চেকআপ করতেই হবে। এটি জিনগত সমস্যা হতে পারে। তাই ভুলবেন না।
যখনই ইচ্ছে হবে স্টেরয়েড কিংবা সাপ্লিমেন্ট নেওয়া বন্ধ করুন। আপনি যেমন চাইবেন সেরকম শরীরের প্রয়োজন নাও হতে পারে। ডায়েট কিন্তু পরামর্শ অনুযায়ীই করতে হবে। এগুলি কিন্তু আপনার শরীরের ক্ষেত্রে অভিশাপ। অতিরিক্ত চর্বি ক্ষরণ কিন্তু ভাল নয়।
আরও পড়ুন < বায়ুদূষণ ভাইরাল ফিভার- এর প্রভাব আরও বাড়িয়ে তুলছে? >
শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে? লো অথবা হাই ব্লাড প্রেসার? তবে অবধারিত চিকিত্সা করুন। এবং রাত্রিবেলা ঘুম ভাল করে না হলে কিন্তু সকাল সকাল শরীরকে ধখল দিয়ে কাজ করবেন না। রেগুলার এরকম হতে থাকলে খুব খারাপ।
হাবিজাবি খাওয়া, তৈলাক্ত খাবার, চর্বি খাবার অতিরিক্ত কার্ব হাইড্রেট খাওয়া ভাল নয়। সবকিছুই মেপেঝুঁকে খান। সঙ্গেই ধূমপান, মদ্যপান এবং উশৃঙ্খলতার কারণে ভুগতে পারেন। অনেক দিনের ব্যবহার করা তেল, বিশেষ করে সাদা তেল আপনার জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
মনে রাখবেন, অর্থ কিন্তু সবসময় সাথ দেবে না। এমনও হতে পারে যার থেকে আপনি নিস্তার নাও পেতে পারেন তাই জীবনের সঙ্গে আপস করবেন না। একে সুস্থ রাখতে হলে নিজেকেও শুধরাতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন